দেশ

জলপথে বেআইনি অনুপ্রবেশ ঠেকাতে ওড়িশা উপকূলে নামালো ১০টি ইন্টারসেপ্টর বোট

বাংলাদেশে অন্তর্বর্তী সরকার গড়ে উঠলেও শান্তি যে রাতারাতি ফিরে এসেছে এমন নয়। বিশেষ করে যে ভয়ঙ্কর হানাহানি, রক্তপাত, হিংসা, লুঠপাট বাংলাদেশে গত কয়েকদিন ধরে চলেছে তাতে আতঙ্কিত সেখানকার সংখ্যালঘুরা। তাই ভারতের সীমান্তগুলিতে তাঁরা ভিড় জমাতে শুরু করেছেন। চোরাগোপ্তা কোনও পথে যদি ভারতে ঢুকে পড়া যায় সেই চেষ্টাও চলছে বলে সূত্রের খবর। আর এই কারণে ওড়িশা সরকার ইন্টারসেপ্টর বোট নামিয়ে দিয়েছে উপকূলবর্তী এলাকায়। কারণ তাঁদের কাছে গোয়েন্দা রিপোর্ট এসেছে অনুপ্রবেশের। তাই উপকূলবর্তী এলাকায় হাই অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে। যাতে বাংলাদেশ থেকে কেউ এদেশে ঢুকতে না পারে। এদিকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ইতিমধ্যেই বাংলাদেশে বার্তা পাঠিয়েছেন। সেখানের হিন্দুদের বাঁচাতে বলেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী। অন্তবর্তী সরকারকে শুভেচ্ছা জানিয়ে বাংলাদেশে শান্তি ফিরে আসুক এই বার্তা দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ওখানে যে অস্থির পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে তা থামুক এটাই সবাই চাইছেন। এই আবহে ওড়িশা পুলিশের ডিরেক্টর জেনারেল অরুণ কুমার সারেঙ্গি জানান, উপকূলবর্তী জেলায় মেরিন পুলিশ নামানো হয়েছে। তাঁদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বেআইনি অনুপ্রবেশ রোখার জন্য। গোটা এলাকায় সতর্ক দৃষ্টি রাখতে বলা হয়েছে। অন্যদিকে এই বেআইনি অনুপ্রবেশ ঠেকাতে ২৪ ঘণ্টা কন্ট্রোল রুম খোলা রয়েছে। উপকূলরক্ষায় নিরাপত্তায় জন্য অতিরিক্ত ডিরেক্টর জেনারেল (‌এডিজি)‌ অফিস থেকে সমন্বয় রক্ষা করা হচ্ছে। ১০টি দ্রুতগামী ইন্টারসেপ্টর বোট নামানো হয়েছে। স্থানীয় মৎস্যজীবীদেরও বলা হয়েছে উপকূলে নজর রাখতে। আর কোনও সন্দেহজনক কিছু দেখলে তৎক্ষণাৎ পুলিশকে জানাতে। যদিও উপকূলরক্ষী বাহিনী নিয়মিত টহল দিচ্ছে এলাকায়। জলপথেই এখন বাংলাদেশের নাগরিকরা এদেশে প্রবেশ করার ছক করেছে বলে জানতে পেরেছে ভারতীয় উপকূলরক্ষী বাহিনী।সমুদ্রপথই ভারতে প্রবেশ করার সহজ পথ বলে মনে করছেন বাংলাদেশের নাগরিকরা। জলপথে কেন্দাপাড়া জেলায় ঢুকতে মাত্র ১০ ঘণ্টা সময় লাগে। এই বিষয়ে ওড়িশা পুলিশের ডিরেক্টর জেনারেল অরুণ কুমার সারেঙ্গি বলেন, ‘‌এখানে ১৮টি থানা রয়েছে। আর সাতটি উপকূলবর্তী জেলা রয়েছে। বালেশ্বর, ভদ্রক এবং কেন্দাপাড়া দিয়ে বাংলাদেশের নাগরিকরা ঢুকতে পারে। তাই তীক্ষ্ণ নজরদারি রাখা হয়েছে। ভারতীয় নৌবাহিনী এবং উপকূলরক্ষী বাহিনী ব্যাপক টহল দিচ্ছি। ভুবনেশ্বর কন্ট্রোল রুম থেকে সবটা নজর রাখা হচ্ছে। সমস্ত এজেন্সির সঙ্গে যোগাযোগ রাখা হচ্ছে।’‌