কর্তব্যরত অবস্থায় তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ করে খুনের অভিযোগ ইতিমধ্যেই গ্রেপ্তার একজন। ঘটনা ঘিরে উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত চললেও, হাসপাতালের অভ্যন্তরে নিরাপত্তা নিয়ে গোড়া থেকে প্রশ্ন উঠেছে। তরুণী চিকিৎসককে খুনের ঘটনার দুই দিন পর রবিবার আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের দুই নিরাপত্তারক্ষীকে সাসপেন্ড করল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। রবিবার চেস্ট মেডিসিন বিভাগের দায়িত্বে থাকা দুই নিরাপত্তারক্ষীকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাতে তাঁরাই দায়িত্বে ছিলেন। সেই রাতেই তরুণী চিকিৎসককে চারতলায় সেমিনার হলে ধর্ষণ করে খুনের অভিযোগ উঠেছে। নিরাপত্তারক্ষী থাকা সত্বেও কীভাবে অভিযুক্ত হাসপাতালে ঢুকল এবং চারতলা পর্যন্ত উঠল, তা ঘিরে শুরু থেকেই প্রশ্ন ছিল। চাপের মুখে দুইজনকে সাসপেন্ড করা হল। পাশাপাশি হাসপাতালের অভ্যন্তরে আরও সিসিটিভি ক্যামেরা লাগানোর কাজ শুরু হয়েছে আজ। যে সব জায়গায় সিসি ক্যামেরা নেই, সেখানে নতুন করে লাগানো হচ্ছে। যেগুলো দীর্ঘদিন ধরে কাজ করছিল না, সেগুলো মেরামত করা হচ্ছে। রবিবার সকালেও আরজি কর হাসপাতালে বাড়তি পুলিশ মোতায়েন। রয়েছে ব্যারিকেড। গতকাল বাইরের আন্দোলনকারীদের সঙ্গে পুলিশের ধস্তাধস্তিতে রণক্ষেত্র হয়ে ওঠে হাসপাতাল চত্বর।