বাঁধ ভেঙে জল ঢুকছে গ্রামে। গঙ্গার জলে প্লাবিত একের পর গ্রাম। বাঁধ ভাঙার ফলে প্রায় যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে মালদা মানিকচক ব্লকের ভূতনির একাধিক এলাকা। গঙ্গার জল ঢুকে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষিজমি। এমনকী লোকালয়েও বন্যার জল ঢুকতে শুরু করেছে। ঘরবাড়ি ছাড়তে শুরু করেছেন এলাকার বাসিন্দারা। হঠাৎ অস্থায়ী বাঁধ ভেঙে যাওয়ার ফলে সংরক্ষিত এলাকাতেও জল ঢুকতে শুরু করেছে। মানিকচকের ভূতনির কেশরপুর কালুটোন টোলায় ভাঙা বাঁধের অংশ দিয়ে সংরক্ষিত এলাকায় প্রবেশ করছে গঙ্গা নদীর জল। গভীর রাতে বালির বস্তার বাঁধ ভেঙে জলবন্দি হয়েছে ভূতনির চারটি গ্রাম। বন্যা কবলিত এলাকার বাসিন্দা প্রভাত কুমার মন্ডল বলেন, “প্রশাসনের গাফিলতিতে বাঁধ ভেঙেছে। আগে থেকে বাঁধের মেরামতি করলে বাঁধ ভাঙত না। এলাকা সুরক্ষিত থাকত। বাঁধ ভাঙার জন্য আমরা প্রশাসনকেই দায়ি করছি।” অন্য দিকে, মানিকচকের গঙ্গানদীর জলস্তর বিপদসীমা ছাড়িয়েছে।প্রশাসনিক অবহেলা এবং সেচ দফতরের গাফিলতির কারণে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে অভিযোগ স্থানীয় বাসিন্দাদের। মালদহের মানিকচক ব্লকের উত্তর চন্ডিপুর পঞ্চায়েতের অন্তর্গত কেশরপুর কালুটোন টোলা এলাকার তিনটি জায়গা দীর্ঘ এক বছর ধরে বাঁধহীন ছিল। বারংবার প্রশাসনকে জানিয়েছিলেন, এমনকি বিক্ষোভও দেখিয়েছেন বাসিন্দারা। তাঁদের দাবি ছিল, ভাঙা বাঁধের অংশগুলি দ্রুত সংস্কার করা। কিন্তু প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোনো উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়নি বলে অভিযোগ। অবশেষে, পরিস্থিতির অবনতি হতে থাকায় গত দুই দিন আগে থেকে ওই এলাকায় জরুরি ভিত্তিতে ভাঙা বাঁধের অংশ বালির বস্তা দিয়ে মেরামতির কাজ শুরু করে প্রশাসন। কিন্তু লাগাতার বৃষ্টি ও গঙ্গা নদীর জলস্তর ক্রমশ বৃদ্ধি পেতে থাকায় বালির বস্তা জলের স্রোতে ভেসে যায়। ব্যাপক বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে গোটা এলাকা জুড়ে। বন্যা কবলিত এলাকায় ইতিমধ্যে ত্রানের ব্যবস্থা করা হয়েছে। নিরাপদ জায়গায় বন্যা কবলিতদের সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। যদিও এমন বন্যা পরিস্থিতিতে প্রশাসনের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।