দেশ

বিরোধীদের চাপের মুখে সম্প্রচার পরিষেবা নিয়ন্ত্রণ বিলের খসড়া প্রত্যাহার মোদি সরকারের

সংবাদমাধ্যম এবং সমাজমাধ্যমে ‘লাগাম পরানোর’ উদ্দেশ্যে এ বার সম্প্রচার পরিষেবা (ব্রডকাস্টিং) নিয়ন্ত্রণ বিলের নতুন খসড়া পাশ করাতে উদ্যোগী হচ্ছে নরেন্দ্র মোদির সরকার। কিন্তু তীব্র সমালোচনা ও বিতর্কের মুখে পড়ে সম্প্রচার পরিষেবা (ব্রডকাস্টিং) নিয়ন্ত্রণ বিলের খসড়া প্রত্যাহার করল মোদি সরকার। সংসদের বাদল অধিবেশনে নয়া এই সম্প্রচার বিলটির খসড়া উত্থাপন করেছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। এই খসড়া বিলের বিরোধিতা করে সরব হন বিরোধীরা। আপত্তি ওঠে সংশ্লিষ্ট পক্ষ থেকেও। সংবাদমাধ্যম এবং সমাজমাধ্যমে ‘লাগাম পরানোর’ উদ্দেশ্যেই সরকার এই বিল আনতে চলেছে বলে সরব হয়েছিলেন বিরোধীরা। নয়া এই বিলের মাধ্যমে সরকার বাক স্বাধীনতা, মানুষের কণ্ঠরোধ করতে চাইছে বলে তোপ দেগেছিলেন তাঁরা। শেষমেশ বিতর্ক ও সমালোচনার মুখে পড়ে সম্প্রচার পরিষেবা (ব্রডকাস্টিং) নিয়ন্ত্রণ বিল ২০২৪-এর খসড়া প্রতাহ্যার করেছে কেন্দ্র। গত বছরের নভেম্বরে এটির খসড়া তৈরি করা হয়। তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রকের অফিসিয়াল এক্স হ্যান্ডেলে এসম্পর্কে সম্পূর্ণ তথ্য দেওয়া হয়েছে। ২০২৩ সালে সংসদে সম্প্রচার পরিষেবা নিয়ন্ত্রণ বিল পেশের বার্তা দিয়েছিল নরেন্দ্র মোদি সরকার। কিন্তু বিল পেশের আগেই তার খসড়া প্রস্তুতির প্রক্রিয়া নিয়ে শুরু হয় বিতর্ক। বিরোধীদের অভিযোগ, সংসদে পেশ হওয়ার আগেই প্রকাশ্যে এসে গিয়েছিল খসড়া।

কী বলছে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়?
এই সংক্রান্ত সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন পক্ষ এবং জনসাধারণের মত চেয়ে ব্যাখ্যামূলক নোট-সহ একটি খসড়া ২০২৩ সালের নভেম্বর মাসে মন্ত্রকের ওয়েবসাইটে দেওয়া হয়েছিল। মন্ত্রক বিলের খসড়া নিয়ে স্টেক হোল্ডারদের সঙ্গে ধারাবাহিক ভাবে আলোচনা করেছে। এব্যাপের বিভিন্ন অ্যাসোসিয়েশন থেকে একাধিক সুপারিশ-মন্তব্য ও পরামর্শ পাওয়া গিয়েছে। তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রের তরফে বলা হয়েছে, আগামী ১৫ অক্টোবরের পর্যন্ত মন্তব্য ও পরামর্শ পেতে অতিরিক্ত সময় দেওয়া হল। বিস্তারিত আলোচনার পর নতুন খসড়া বিল প্রকাশিত হবে বলে জানানো হয়েছে সরকারের তরফে। সোমবার মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়, মতামতের ভিত্তিতেই নয়া খসড়া তৈরি কাজ চলছে।