কলকাতা

চিকিৎসা না পেয়ে ৩ রোগী মৃত্যু, আর জি কর কাণ্ডে আন্দোলন ছেড়ে চিকিৎসকদের কাজে ফিরতে অনুরোধ মুখ্যমন্ত্রীর

রাত পোহালেই স্বাধীনতা দিবস। আর আরজি কর হাসপাতালে কর্তব্যরত চিকিৎসককে ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনার প্রতিবাদে আজ, বুধবার রাতে পথে নামতে চলেছেন কলকাতার মহিলারা। মেয়েদের ‘রাতের দখল’ কর্মসূচিতে রাজনীতির রং না লাগানোর আহ্বান জানানো হয়েছে। তবে এই কর্মসূচির পিছনে সিপিএমের হাত আছে বলে জানতে পারা গিয়েছে। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আজ বেহালায় স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে একটি সভা করতে আসেন। সেখানেই সিপিএম–বিজেপিকে তুলোধনা করেন। আরজি করের ঘটনায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। তাকে সম্মান জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এমনকী এবার চিকিৎসকদের কাজে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানান তিনি। এখনও পর্যন্ত তিনজন রোগী মারা গিয়েছেন চিকিৎসা না পেয়ে। তাই আর আন্দোলন না করে কাজে ফেরার অনুরোধ করেন মুখ্যমন্ত্রী। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথায়, ‘‌চিকিৎসকদের আবেদন জানাচ্ছি, তিনজন বিনা চিকিৎসায় মারা গিয়েছেন। চিকিৎসা দিতে আপনারা অঙ্গীকারবদ্ধ। পাঁচদিন হয়ে গেল। পায়ে ধরে বলছি, তাতে যদি চরণযুগল ভাল থাকে। চিকিৎসা করুন। আন্দোলন করেছেন। কেউ আটকায়নি। এবার কাজে নামুন। সিনিয়র ডাক্তাররা পরিষেবা দিচ্ছেন, আমি কৃতজ্ঞ।’‌ এরপরই পাল্টা কর্মসূচি ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি নির্দেশ দেন, ‘‌১৭ তারিখ থেকে সারা বাংলায়, সব ব্লক, সব ওয়ার্ডে ২টো থেকে ৪টে পর্যন্ত বাম–রামের চক্রান্তের বিরুদ্ধে মিছিল ও আন্দোলন হবে। ১৮ তারিখ ধরনা হবে ব্লকে ব্লকে। ১৯ তারিখে রাখি। ২০ তারিখে আবার পথে নামব আমরা। সেই কর্মসূচি পরে জানিয়ে দেব।’‌ এদিকে এই ধরনা আন্দোলনের জেরে তিনজনের মধ্যে একজন শিশু ও একজন অন্তঃসত্ত্বা মহিলা মারা গিয়েছেন বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী। আজ মেয়েদের ‘রাতের দখল’ কর্মসূচি নিয়েও সরব হন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই কর্মসূচি অরাজনৈতিক হলে ভাল হতো বলে তিনি মনে করেন। কিন্তু এখানে তা হচ্ছে না। বরং বাম–রাম হাত মিলিয়েছে বাংলার বদনাম করতে বলে অভিযোগ করেন মুখ্যমন্ত্রী। তাই তাঁর বক্তব্য, ‘‌কলকাতা এবং বাংলার পুলিশ দেশের মধ্যে সেরা। এই পুলিশই বাংলাদেশের সাংসদের খুনের ঘটনা মুহূর্তের মধ্যে কিনারা করেছে। আরজি কর হাসপাতালের ঘটনায় ১২ ঘণ্টার মধ্যে মূল অপরাধীকে গ্রেফতার করেছে কলকাতা পুলিশ। রবিবার পর্যন্ত আমি সময় দিয়েছিলাম পুলিশকে। কারণ তদন্তে ন্যূনতম সময় লাগে। সেটা দেওয়া গেল না। তার আগেই হাইকোর্টে গেলেন। সব ভাল যার শেষ ভাল। কারণ, পুলিশ না পারলে আমাকেই সিবিআই দিতে হতো।’‌