গত বুধবার রাতে আর জি কর হাসপাতালে তাণ্ডবের ঘটনার তদন্তের দায়িত্বও সিবিআই-এর হাতে তুলে দিল কলকাতা হাইকোর্ট৷ এ দিন এই নির্দেশ দিয়েছে বিচারপতি টি এস শিবজ্ঞানমের ডিভিশন বেঞ্চ৷ সিবিআই-এর মুখোমুখি হওয়ার আগে এ দিন রক্ষাকবচ চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন জানান আর জি কর হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ৷ সেই মামলার শুনানি চলাকালীনই হাসপাতালে ভাঙচুরের ঘটনাটি ওঠে আদালতে৷ রাজ্য সরকার এবং পুলিশের ভূমিকায় ক্ষুব্ধ প্রধান বিচারপতির মুখে এ দিন আর জি কর হাসপাতাল পুরোপুরি বন্ধ করে দেওয়ার হুঁশিয়ারিও শোনা গিয়েছে৷ ক্ষুব্ধ বিচারপতিরা বলেন, ‘আমরা এবার হাসপাতাল বন্ধ করে দেওয়ার নির্দেশ দেব৷ সব রোগীকে অন্যত্র স্থানান্তরিত করার নির্দেশ দেওয়া হবে৷’ হাসপাতালে কত জন রোগী ভর্তি রয়েছেন, তাও জানতে চেয়েছে প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ৷ এই ঘটনায় এ দিন ক্ষুব্ধ প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘আর জি করে ভাঙচুর রুখতে ব্যর্থ রাজ্য প্রশাসন। ৭০০০ জমায়েত কীভাবে হল? রাজ্য পুলিশ, গোয়েন্দাদের কাছে তথ্য ছিল না কেন? রাজ্য তার পুলিশ কর্মীদের নিরাপত্তা দিতেই ব্যর্থ হয়েছে। কেন ৭০০০ জমায়েত হল? কীভাবে তারা হাসপাতালে ঢুকে পড়ল?’ এ দিনই কলকাতা হাইকোর্ট জানিয়ে দিয়েছে, আর জি করের অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষকে সিবিআই-এর সামনে হাজিরা দিতেই হবে৷ এর কিছুক্ষণের মধ্যেই মাঝরাস্তা থেকে সন্দীপ ঘোষকে মাঝরাস্তা থেকে আটক করে সিজিও কমপ্লেক্সে নিয়ে যান সিবিআই আধিকারিকরা৷