কলকাতা

চিকিৎসক বদলি বিতর্ক থামাতে মুখ্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ! নির্দেশিকা প্রত্যাহার রাজ্যে স্বাস্থ্য দফতরের

চিকিৎসকদের বদলির নির্দেশিকা প্রত্যাহার করল স্বাস্থ্য দফতর। যে ৪২ জন চিকিৎসককে রাজ্যের বিভিন্ন মেডিক্যাল কলেজে বদলির নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল তা আপাতত প্রত্যাহার করছে স্বাস্থ্য দফতর। রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় কর্মরত মোট ৪২ জন চিকিৎসককে বদলির নির্দেশ দেওয়া হয়। এর মধ্যে কলকাতার বিভিন্ন মেডিক্যাল কলেজগুলির ১৩ জন চিকিৎসকও ছিলেন। এই বদলির নির্দেশিকা আপাতত প্রত্যাহার করে নিল স্বাস্থ্য ভবন। সূত্রের খবর, মুখ্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপেই এই বদলির নির্দেশিকা প্রত্যাহার করা হয়েছে। স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণ স্বরূপ নিগম বলেন, “৪২ জন চিকিৎসকের বদলির ঘটনা রুটিন বদলি। ৯ অগাস্টের অনেক আগে থেকে এটা শুরু হয়েছে। এই নির্দেশ যদিও প্রত্যাহার করে নেওয়া হল। কারণ স্বাস্থ্য পরিষেবা নিয়ে কথা চলছে চারিদিকে”। আরজি করে চিকিৎসক ধর্ষণ এবং খুনের অভিযোগে উত্তাল গোটা দেশ। আন্দোলনে শামিল হয়েছিলেন রাজ্যের চিকিৎসকরাও। এই আবহেই একসঙ্গে ৪৩ জন চিকিসকের বদলি নিয়ে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেন চিকিৎসকদের একাংশ। চিকিৎসক স্বাতী ভট্টাচার্য, প্রণীতা তরফদার, অনিরুদ্ধ সেনগুপ্তের মতো বেশ কিছু চিকিৎসক আন্দোলনকারী চিকিৎসকদের প্রতি সহমর্মিতা জ্ঞাপন করায় তাদের ক্ষেত্রে প্রতিহিংসার বশবর্তী হয়েই বদলির নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল বলে একাংশ অভিযোগ তোলেন। বদলি হওয়া চিকিৎসকদের মধ্যে কলকাতার বিভিন্ন মেডিক্যাল কলেজের ১১ জন চিকিৎসককে উত্তরবঙ্গ-সহ অন্যত্র বদলি করা হয়। মোট ৪৩ জন চিকিৎসককে বদলির নির্দেশিকা রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায়। চিকিৎসকদের বদলি নিয়ে বিস্ফোরক ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাকশন কমিটির পশ্চিমবঙ্গ শাখার চেয়ারম্যান চিকিৎসক সৌরভ দত্ত। চিকিৎসক সৌরভ দত্ত বলেন, “এটা হতে পারে রুটিন বদলি, আবার হতে পারে এটা সত্যিই প্রতিহিংসার কারণে। বিগত কয়েক বছর ধরে কিছু মানুষের স্বার্থসিদ্ধির জন্য এই ঘটনা ঘটেছে, তাই প্রশ্ন উঠছে। বারবার যখন ডাক্তারদের মনে সন্দেহের অবকাশ হচ্ছে সেটা স্বাস্থ্য প্রশাসনের সর্বোচ্চ স্তরে বিশ্লেষণ করা উচিত”।