আরজি কর হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে বলে উঠেছে অভিযোগ। তারপর নাগরিক সমাজ রাতের দখল নিয়ে রাস্তায় নেমেছিল। সেই রাতেই ভাঙচুর করা হয় আরজি কর হাসপাতাল। এই আবহে খোদ বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর বিধানসভা কেন্দ্র নন্দীগ্রামে মহিলাকে নির্যাতনের অভিযোগ উঠল। তার জেরে উত্তপ্ত হয়ে উঠল নন্দীগ্রাম। বিরোধী দলনেতা যখন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে সুর চড়াচ্ছেন তখন নিজের গড়েই এমন ঘটনা নিয়ে নিশ্চুপ তিনি। রাতে বিজেপি নেতা কর্মীরা দুষ্কৃতী সঙ্গে নিয়ে ওই গৃহবধূর উপর হামলা করে। বাড়িতে ভাঙচুর চালানো হয়। ওই মহিলাকে বিবস্ত্র করে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। ওই গৃহবধূকে নগ্ন করে ৩০০ মিটার দৌড় করানো হয়েছে। মহিলাকে নগ্ন করে মারধর এবং দৌড় করানোর অভিযোগ উঠল বিজেপির বিরুদ্ধে। যদিও এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে বিজেপি। এই ঘটনার তদন্তে নেমে একজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বাকি অভিযুক্তদের খোঁজ চলছে। আগামীকাল, রবিবার তৃণমূল কংগ্রেসের প্রতিনিধিদল নন্দীগ্রাম যাচ্ছে। ফলে সরগরম থাকবে রাজ্য–রাজনীতি। আরজি কর হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ ও খুনের মামলায় দোষীর ফাঁসির দাবিতে রাজপথে নামেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। সেখানে এই ঘটনা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ চান বিরোধী দলনেতা। এবার তাঁর বিধানসভা কেন্দ্রে বিজেপির বিরুদ্ধেই এমন মধ্যযুগীয় বর্বরতার অভিযোগ ওঠায় চাপে পড়লেন শুভেন্দু। স্থানীয় সূত্রে খবর, নন্দীগ্রাম ১ ব্লকের গোকুলনগরে বাড়ি ওই গৃহবধূর। তাঁর স্বামী চেন্নাইয়ে কর্মরত। গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে এই পরিবার বিজেপি থেকে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করে। কিন্তু আবার বিজেপিতে ফেরার জন্য চাপ শুরু হয় বলে তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্বের অভিযোগ। শুক্রবার রাতে বাড়িতে নাবালিকা মেয়ের সঙ্গে ওই গৃহবধূ একা ছিলেন। তখন স্থানীয় কয়েকজন বিজেপি নেতৃত্ব বাড়িতে হামলা করে বলে অভিযোগ। তখনই নেমে আসে মধ্যযুগীয় বর্বরতা বলে অভিযোগ। এদিকে বিরোধী দলনেতা যখন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে সুর চড়াচ্ছেন তখন নিজের গড়েই এমন ঘটনা নিয়ে নিশ্চুপ তিনি। রাতে অন্ধকারে বিজেপি নেতা–কর্মীরা দুষ্কৃতী সঙ্গে নিয়ে ওই গৃহবধূর উপর হামলা করে বলে অভিযোগ। ওই রাতে বাড়িতে ভাঙচুর চালানো হয়। ওই মহিলাকে বিবস্ত্র করে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। তারপর ওই গৃহবধূকে নগ্ন করে ৩০০ মিটার দৌড় করানো হয়েছে বলে দাবি তৃণমূল কংগ্রেসের। খবর পেয়ে চেন্নাই থেকে বাড়ি ফেরেন ওই গৃহবধূর স্বামী। এই ঘটনায় তিনি লিখিত অভিযোগ থানায় দায়ের করেছেন। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে স্থানীয় বিজেপির বুথ সভাপতি তাপস দাসকে গ্রেফতার করেছে নন্দীগ্রাম থানার পুলিশ। যদিও এই ঘটনাটি সম্পূর্ণ পারিবারিক বলে দাবি করেছে বিজেপি।গোকুলনগর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় তৃণমূলের অস্তিত্ব নেই বলে দাবি বিজেপির। যিনি অভিযোগ করেছেন তিনিও বিজেপি করেন আর যিনি অভিযুক্ত তারাও বিজেপি করেন এটাকে সমর্থন করি না এমনটাই বলছেন স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্বরা।