পুলিশের নামে ভুয়ো প্রচারের অভিযোগ সুখেন্দুশেখরের বিরুদ্ধে। তৃণমূল সাংসদকে তলব করল লালবাজার। রবিবার বিকেল ৪টে নাগাদ তাঁকে ডেকে পাঠানো হয়েছে। আরজি কর ইস্যুতে তাঁর করা একটি পোস্ট ঘিরে শুরু হয়েছে জোর চর্চা। আরজি কর কাণ্ড নিয়ে কড়া পোস্ট করেন সুখেন্দুশেখর রায়ের। সরাসরি কলকাতার পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েলকে CBI হেফাজতে নেওয়ার দাবি তুললেন তৃণমূলের এই সাংসদ। সূত্রের খবর, ভারতীয় ন্যায় সংহিতার ৩৫/(১) ধারায় নোটিস পাঠানো হয়েছে সুখেন্দুশেখর রায়কে। স্নিফার ডগ নিয়ে তিনি যে তথ্য দিয়েছেন তা মানতে নারাজ লালবাজার। কলকাতা পুলিশের বক্তব্য, আরজি করের ঘটনায় ৯ এবং ১২ অগাস্ট ক্রাইম স্পটে স্নিফার ডগ নিয়ে যাওয়া হয়। পাল্টা তাঁর সমালোচনাও করলেন কুণাল ঘোষ। রবি সকাল থেকে দুই নেতার পোস্ট, পাল্টা পোস্টে সরগরম রাজ্য রাজনীতি।
কী দাবি সুখেন্দুশেখরের?
আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষকেও হেফাজতে নিয়ে জেরা করার দাবি তুলেছেন সুখেন্দুশেখর রায়। শনিবার রাতে এই মর্মে এক্স হ্যান্ডলে একটি পোস্ট করেন তিনি। তৃণমূল সাংসদ লেখেন, ‘CBI-কে স্বচ্ছভাবে তদন্ত করতে হবে। কে বা কারা, কেন আত্মহত্যার তত্ত্ব খাড়া করার চেষ্টা করছিল? তা জানান জন্য আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ এবং কলকাতার পুলিশ কমিশনারকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা প্রয়োজন। কেন সেমিনার হলের কাছে ঘরের দেওয়ার ভেঙে ফেলা হল? কার প্রশ্রয়ে রায় এত ক্ষমতা পেলেন?কেন ঘটনার তিনদিন পর স্নিফার ডগ ব্যবহার করা হলো? এমন বহু প্রশ্ন উঠে আসছে। এর উত্তর দিতে হবে ওঁদের।’
পাল্টা সরব কুণাল
তৃণমূলের সাংসদের এই পোস্টের পরই পাল্টা সরব হন কুণাল ঘোষ। তিনি উল্লেখ করেছেন, পুলিশ যথাযথ তদন্ত করেছে। দক্ষতার সাথে কাজ করেছেন পুলিশ কমিশনার। তাই সুখেন্দুশেখর রায়ের মতো সিনিয়র নেতার থেকে এই মন্তব্য বর্তমান পরিস্থিতিতে কাম্য নয়। এক্স হ্যান্ডলের পোস্টে কুণাল লিখেছেন, ‘আমিও আরজি কর কাণ্ডের বিচার চাই। কিন্তু কলকাতার পুলিশ কমিশনারকে গ্রেফতারির দাবির তীব্র বিরোধিতা করছি। খবর পাওয়ার পর তিনি সাধ্যমতো চেষ্টা করেছেন। ব্যক্তিগত ভাবে সিপি সদর্থক তদন্ত করেছেন। আমার সিনিয়র নেতার থেকে এই ধরনের পোস্ট দুর্ভাগ্যজনক।’