কলকাতা

সিজিও কমপ্লেক্সে ফাইল হাতে কুণাল ঘোষ, আরজি কর কাণ্ডে ডাক্তারদের কাছে থেকে পাওয়া ‘তথ্য প্রমাণ’ তুলে দিলেন সিবিআইয়ের হাতে

এবার আরজি কর কাণ্ডে ‘তথ্য প্রমাণ’ নিয়ে সিজিও কমপ্লেক্সে কুণাল ঘোষ। নিজেরই একটি মামলার পরিপ্রেক্ষিতে হাজিরা দিতে আজ সিজিও-তে গিয়েছিলেন কুণাল। সেখানে তিনি সিবিআই দফতরে যান হাতে এক ফাইল নিয়ে। তৃণমূল নেতা জানান, তাঁর হাতে আরজি করের বর্তমান এবং প্রাক্তন পড়ুয়ারা কিছু নথি তুলে দিয়েছেন। সেই নথি এবং তথ্যপ্রমাণই কেন্দ্রীয় তদন্তকারীদের হাতে তুলে দিতে এসেছেন তিনি। সোমবার সকালে তিনি সাংবাদিকদের কাছে বলেন, “জুনিয়র ডাক্তারদের কাছে থেকে পাওয়া কিছু নথি আমি সিবিআই-এর কাছে জমা দিতে এসেছি ৷” এই নথি কোনও দুর্নীতি সংক্রান্ত কি না, সেই প্রশ্নের কোনও উত্তর তিনি দেননি ৷ এদিন তিনি দাবি করেন,কয়েকজন জুনিয়র ডাক্তার তাঁর কাছে কিছু নথি দিয়েছেন ৷ সেই নথি তিনি সিবিআই-এর হাতে তুলে দিতে এসেছেন ৷ তিনি নথির সত্যাসত্য বিচার করেননি ৷ সিবিআই-এর তদন্তকারীরা যদি মনে করেন এই নথি তাঁদের তদন্তে কাজে লাগবে, তাহলে তাঁরা সেগুলি নিজেদের কাছে রাখতে পারেন ৷ প্রথমে তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ বলেন, “আমি নিজস্ব দরকারে এসেছি ৷ আমি কলকাতার বাইরে গেলে সেটা জানাতে হয় ৷ সেই কারণে এসেছি ৷ পাশাপাশি আরজি করের কয়েকজন জুনিয়র ডাক্তার, প্রাক্তনী, কয়েকদিন আগে থেকে আমার সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন ৷ কিছু বিষয়ে তাঁরা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চাইছিলেন ৷ আমার কাছে আসার কারণ হিসেবে বলেছিলেন, আপনি কর্মপ্রার্থীদের আন্দোলনে সময় দিয়েছিলেন তাই আপনার কাছে এসেছি ৷” কুণাল জানান আরজি কর হাসপাতালের প্রতি তা দুর্বলতা আছে। কারণ তাঁর বাবা-মা দু’জনেই আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের ছাত্র-ছাত্রী ছিলেন ৷ তিনি এও বলেন, ‘আমার জন্ম আরজি কর হাসপাতালে ৷ আমার ঠাকুরদার চেম্বার এবং ওষুধের দোকান আরজি করের গায়েই ছিল ৷ পরে তা উঠে যায় ৷ তাই আমার একটা দুর্বলতা আছে’ ৷