আরজি কর হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষকে ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজের দায়িত্ব দিতেই আন্দোলিত হয়ে উঠেছিল গোটা বাংলা। কারণ, তাঁর বিরুদ্ধে যে ধরণের অভিযোগ উঠছে তার পরেও তাঁকে কীভাবে অন্য একটি সরকারি মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ পদে নিয়োগ করা হল, সেই প্রশ্ন উঠেছিল। শাসক দলের অন্দরেও ক্ষোভ ছিল যে, কার নির্দেশে এই মহাভুল করে ফেলল সরকার। এহেন পরিস্থিতিতে বুধবার রাত থেকে রটে যায় যে সন্দীপ ঘোষের পুরনো ট্রান্সফারের নির্দেশ বাতিল করে তাঁকে স্বাস্থ্য দফতরের ওএসডি পদে নিয়োগ করা হয়েছে। সংবাদমাধ্যমের একাংশ তা নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছিল। বিরোধী দল নেতাও দাবি ক র ছিলেন। কিন্তু খবরটা সম্পূর্ণ ভুয়ো। শুক্রবার স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে স্পষ্ট করে বলা হয়েছে, সন্দীপ ঘোষকে ওএসডি পদে নিয়োগ করা হয়নি। তাঁকে কোর্টের নির্দেশে ছুটিতে পাঠানো হয়েছে এবং ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজে তাঁর পোস্টিং বাতিল করা হয়েছে। সন্দীপ ঘোষকে ওএসডি পদে নিয়োগ করা হয়েছে বলে বিভ্রান্তিকর খবর রটে যাওয়ায় সোশাল মিডিয়াতেও লেখালেখি শুরু হয়ে গেছিল। সরকারের সমালোচনাও হচ্ছিল। তাতে এই প্রশ্নও উঠতে শুরু করেছিল যে সরকারের কি একটা ভুল করে শিক্ষা হয়নি। এদিন স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে বলা হয়, আরজি কর কাণ্ডকে কেন্দ্র করে সমাজমাধ্যমে ও সংবাদমাধ্যমের একাংশে বহু ভ্রান্ত ও ভিত্তিহীন তথ্য প্রকাশিত হয়েছে। যা সরকারের বিরুদ্ধে অসন্তোষকে আরও উস্কে দিয়েছে। সুতরাং রাজ্যে শান্তি ও সুস্থির পরিস্থিতি বজায় রাখতে সবাইকেই দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করা উচিত।