অমর্ত্য সেনের পর তিনিই ফের একবার অর্থনীতিতে নোবেল নিয়ে এলেন। এই ঘোষণা হওয়ার পর থেকে অভিজিত্ বিনায়ক বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়ে বিভিন্ন স্তরে বিস্তর আলোচনা শুরু হয়েছে। সেই আলোচনাতেই উঠে এল দিল্লির জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র আন্দোলন করতে গিয়ে জেল খেটেছিলেন নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অভিজিত্ বিনায়ক বন্দ্যোপাধ্যায়। ১৯৮৩ সালে তাঁকে আর তাঁর এক বন্ধুকে জেলে পাঠানো হয়েছিল খুনের চেষ্টার অভিযোগে। এই নোবেলজয়ী ১০ দিন কাটিয়েছেন তিহার জেলে। কানহাইয়া কুমার, উমর খালিদ, অনির্বাণ ভট্টাচার্যদের জেএনইউ ক্যাম্পাসকে দেশদ্রোহের আখড়া বানানোর অভিযোগে জেলে পাঠানো হয়েছিল। তখন এক জাতীয় সংবাদপত্র অভিজিত্বাবুর সাক্ষাত্কার নেয়। সেখানে তিনি বলেন, ‘১৯৮৩ সালে আমাদের বিরুদ্ধে দেশদ্রোহের অভিযোগ আনা হয়নি ঠিকই। তবে খুনের চেষ্টার অভিযোগ দায়ের হয়েছিল।’ প্রতিষ্ঠান তাদের ভর্তির নিয়মে বদল আনতে চাইলে অসংখ্য ছাত্রছাত্রীর সঙ্গে গর্জে উঠেছিলেন তিনিও। পড়ুয়াদের এই রুখে দাঁড়ানো মেনে নিতে পারেনি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। ফলে ৩০০ জনের বেশি পড়ুয়াকে ১০ দিন কাটাতে হয়েছিল তিহার জেলে। আর সেই তালিকায় নাম উঠেছিল অভিজিত্ বন্দ্যোপাধ্যায়েরও।