আরজিকর হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ করে খুন করা হয়। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে নানা আন্দোলন এখন শুরু হয়েছে রাজ্যজুড়ে। তার প্রেক্ষিতে এবার রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলনে নামছে ছাত্র সমাজ। আজ, মঙ্গলবার তাদের নবান্ন অভিযান রয়েছে। ইতিমধ্যেই চারিদিকে পুলিশের নিরাপত্তার ঘেরাটোপ বসে গিয়েছে। এই আবহে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী চারজন ছাত্রনেতা নিখোঁজ বলে এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করেছেন। পাল্টা সকালেই কড়া জবাব দিলেন তৃণমূল কংগ্রেস নেতা কুণাল ঘোষ। তাতে সরগরম রাজ্য–রাজনীতি। ‘পশ্চিমবঙ্গ ছাত্র সমাজ’–এর ব্যানারে আজ, মঙ্গলবার নবান্ন অভিযানকে ‘রক্তক্ষয়ী’ করার চক্রান্তের হদিশ পেয়েছে পুলিশ। ‘বডি না পড়লে’ আন্দোলনের ঝাঁঝ বাড়ানো যাবে না—ঘাটালের তিন বিজেপি নেতার কথার ভাইরাল ভিডিও সামনে এসেছে। আজ সকালে শুভেন্দু অধিকারী এই ছাত্র সমাজের চারজন নিখোঁজ বলে দাবি করেছেন। তবে এই খবর তিনি কেমন করে জানলেন সেটা অবশ্য স্পষ্ট করেননি। শুভেন্দুর দাবি, ‘মমতার পুলিশ’ তাঁদের আটক করে নিয়ে গিয়েছে। পালটা দিয়ে কুণাল ঘোষের কড়া জবাব, তথাকথিত ‘ছাত্র সমাজের’ নবান্ন অভিযান ঘিরে সকাল থেকে উস্কানিমূলক পোস্ট করছেন বিজেপির নেতারা। এই তিন বিজেপি নেতাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ঘাটালের বিজেপি নেতা সৌমেন চট্টোপাধ্যায়, বাবলু গঙ্গোপাধ্যায় এবং চন্দ্রকোনার মণ্ডল বিজেপি সভাপতি বিপ্লব মালকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তারপরই শুভেন্দু অধিকারীর এমন পোস্ট বেশ তাৎপর্যপূর্ণ। শুভেন্দু অধিকারীর এক্স হ্যান্ডেলে পোস্টে জবাব এক্স হ্যান্ডেলেই দিয়েছেন কুণাল ঘোষ। সেই সঙ্গে কেউ যাতে কোনও প্ররোচনায় পা না দেন তার জন্য সাধারণ মানুষের কাছে আবেদন করেছেন কুণাল। শুভেন্দু অধিকারী শুভজিৎ ঘোষ, পুলকেশ পণ্ডিত, গৌতম সেনাপতি, প্রীতম সরকার নামে চার ছাত্র স্বেচ্ছাসেবক নিখোঁজ বলে দাবি করেছেন। আজ আরজি কর হাসপাতালে চিকিৎসকের নৃশংস হত্যাকাণ্ডে ছাত্র সমাজের ডাকে নবান্ন অভিযানের ডাক দেওয়া হয়েছে। তার আগেই হাওড়া ব্রিজে পুলিশের প্রস্তুতি তুঙ্গে উঠেছে। এই আবহে রাজ্যের সব জায়গা থেকে আনা হয়েছে পুলিশ। সেখানে শুভেন্দুর নাম না করে কুণাল ঘোষ এক্স হ্যান্ডেলে কড়া জবাবে লেখেন, ‘তথাকথিত ‘ছাত্র সমাজের’ নবান্ন অভিযানকে ঘিরে সকাল থেকে উসকানিমূলক পোস্ট করছেন বিজেপির নেতারা। এরা সিবিআইয়ের কাছে বিচার না চেয়ে কলকাতায় অশান্তি তৈরিতে মরিয়া। কেউ কোনও গুজব, প্ররোচনার ফাঁদে পা দেবেন না। বিজেপির অনেকে চেষ্টা করছে অন্তর্ঘাতমূলক ঘটনা ঘটিয়ে রাজনৈতিক ফায়দা তোলার।’