সোমবার মহারাষ্ট্র-এ হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ে ৩৬০০ কোটির ছত্রপতি শিবাজী মহারাজের সুবিশাল মূর্তি । ঘটনায় ইতিমধ্যেই ঠিকাদার জয়দীপ আপ্তে এবং পরামর্শদাতা চেতন পাতিলের বিরুদ্ধে FIR দায়ের করা হয়েছে। ভারতীয় ন্যায় সংহিতার ষড়যন্ত্র, দুর্নীতি-সহ একাধিক ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে তাঁদের বিরুদ্ধে। গত বছর ৪ ডিসেম্বর সেনা দিবস উপলক্ষে মহারাষ্ট্রের সিন্ধুদুর্গ জেলায় রাজকোট ফোর্টের সামনে ছত্রপতি শিবাজী মহারাজের ওই মূর্তিটির উদ্বোধন করেছিলেন। গত ২৬ অগস্ট দুপুর ১টা নাগাদ রাজকোট ফোর্টের সামনে মালভানে ৩৫ ফুট উচ্চতার মূর্তিটি ভেঙে পড়ে। পূর্ত দপ্তরের পক্ষ থেকে দায়ের করা FIR-এর ভিত্তিতেই এই মূর্তি ভাঙার ঘটনায় তদন্তে নেমেছে মহারাষ্ট্র পুলিশ। অভিযোগ, মূর্তিটি পরিকাঠামো অত্যন্ত নিম্নমানের ছিল। যে নাটবোল্টগুলি দিয়ে ওই মূর্তিটি তৈরি করা হয়েছিল, তা খুলে যাওয়ার জেরেই তা হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ে বলে উল্লেখ করা হয়েছে অভিযোগপত্রে। একইসঙ্গে জানানো হয়, মরচে পড়ে গিয়েছিল মারাঠা রাজের ওই মূর্তিতে। ইঞ্জিনিয়রদের আপত্তি কানে তোলা হয়নি। যার জেরেই এই দুর্ঘটনা। নেপথ্যে দুর্নীতির ইঙ্গিত। সোমবার দুপুর ১টা নাগাদ ভেঙে পড়ে এই শিবাজি মূর্তি। গত বছর ৪ ডিসেম্বর নৌসেনা দিবসের দিন মূর্তিটির উদ্বোধন করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। মূর্তি ভেঙে পড়ার পর মহারাষ্ট্রের মন্ত্রী দীপক কেসরকর এলাকা পরিদর্শন করে বলেন, ‘এটা দুর্ঘটনা। সেনাদের তরফেই এই মূর্তিটি তৈরির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। গত বছর সেনা দিবসে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির এটি উদ্বোধন করবেন বলে যত্ন সহকারেই মূর্তি তৈরির কাজ সম্পন্ন হয়।’ আমেরিকার স্ট্যাচু অফ লিবার্টির ধাঁচেই আরব সাগরের তীরে মূর্তি তৈরির উদ্যোগ নেওয়া হয় বলেও উল্লেখ করেছেন মন্ত্রী। মূর্তি ভাঙার ঘটনায় এলাকার উপকূলরক্ষী বাহিনীর আধিকারিকের এক তদন্ত রিপোর্ট প্রকাশ্যে এসেছে। যেখানে দাবি করা হয়েছে, মূর্তিটিতে যে নাট বল্টু ব্যবহার করা হয়েছিল তাতে মরচে ধরেছিল। সম্প্রতি এটি সারাই করেন জয়দীপ আপ্তে। তবে নিম্ন মানের সামগ্রী, প্রবল বৃষ্টি ও নোনা হাওয়ার জেরে এই দুর্ঘটনা ঘটে। এদিকে পূর্ত দপ্তরের দাবি, ইঞ্জিনিয়াররা ওই মরচে ধরা নাট বল্টু ব্যবহারে আপত্তি জানিয়েছিল। যদিও তা কানে তোলা হয়নি। এই মূর্তি তৈরির বরাত পেয়েছিলেন ঠিকাদার জয়দীপ আপ্টে এবং চেতন পাটিল। দুই অভিযুক্তের বিরুদ্ধেই এফআইআর দায়ের করেছে পূর্ত দপ্তর। গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।