যোধপুরে সরকারি মহাত্মা গান্ধী হাসপাতাল চত্বরে ১৫ বছরের এক কিশোরীকে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠল দুই যুবকের বিরুদ্ধে। রোববার রাতে এ ঘটনা ঘটলেও সোমবার সন্ধ্যায় পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। প্রতাপ নগর অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার অফ পুলিশ অনিল কুমার জানিয়েছেন, রবিবার সন্ধ্যায় মায়ের বকাঝকা শুনে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যায় ওই কিশোরী। ‘তার পরিবার বিভিন্ন জায়গায় তার সন্ধান করেছিল এবং যখন তারা তাকে খুঁজে পাচ্ছিল না, তখন তারা সোমবার সুরাসাগর থানায় নিখোঁজ ব্যক্তির ডায়েরি করে,’ কুমার বলেছিলেন। পুলিশ সূত্রে খবর, হাসপাতাল চত্বরে মেয়েটিকে একা পেয়ে ওই দুই ব্যক্তি তার কাছে যায়। তারা তার সঙ্গে কথাবার্তা বলছিল এবং তাকে হাসপাতালের বায়োমেডিক্যাল বর্জ্য ডাম্পইয়ার্ডের পিছনে একটি নির্জন জায়গায় নিয়ে যায় যেখানে তারা অপরাধটি করেছিল বলে পুলিশ জানিয়েছে। সোমবার সন্ধ্যায় পুলিশ হাসপাতালের কাছে নির্যাতিতাকে খুঁজে পায় এবং তার পরিবারকে খবর দেয়। পরে মেয়েটি তার বাবা-মা এবং পুলিশকে গোটা বিষয়টি জানায়। পুলিশ জানিয়েছে, নাবালিকার মেডিকেল পরীক্ষার পরে তদন্ত শুরু হয়েছে। পুলিশ আধিকারিক জানিয়েছেন যে মঙ্গলবার সকালে হাসপাতাল চত্বরের মধ্যে অপরাধের ঘটনাস্থল থেকে একটি ফরেনসিক দল প্রমাণ সংগ্রহ করেছে এবং সন্দেহভাজনদের গ্রেপ্তারের জন্য দল গঠন করা হয়েছে, যাদের পরিচয় প্রাথমিকভাবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। হাসপাতালের সুপার ডাঃ ফতাহসিং ভাটি জানিয়েছেন, পুলিশ সন্দেহভাজনদের সম্পর্কে আনুষ্ঠানিকভাবে তাদের জানায়নি, তবে অভ্যন্তরীণ তদন্তে জানা গেছে যে অভিযুক্তদের মধ্যে একজন আগে চুক্তির ভিত্তিতে হাসপাতালে নিযুক্ত ছিলেন।