দেশ

‘নবান্ন অভিযান’ কাণ্ডে সায়ন লাহিড়ির জামিন বহাল রাখল শীর্ষ আদালত

‘পশ্চিমবঙ্গ ছাত্র সমাজ’-এর অন্যতম মুখ সায়ন লাহিড়ির জামিন সংক্রান্ত হাইকোর্টের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছিল রাজ্য। সোমবার বিচারপতি জেবি পাদরিওয়ালা এবং বিচারপতি মনোজ মিশ্রের বেঞ্চে মামলাটি ওঠে। রাজ্যের আবেদনে সাড়া দেয়নি সুপ্রিম কোর্ট। অর্থাৎ বহাল রইল সায়ন লাহিড়ির জামিন। পাশাপাশি কলকাতা হাইকোর্ট নির্দেশ দিয়েছিল, সায়নের বিরুদ্ধে কোনও এফআইআর হলে তার প্রেক্ষিতে পদক্ষেপ করতে গেলেও আদালতের অনুমতি নিতে হবে। এই নির্দেশের উপরেও কোনও হস্তক্ষেপ করল না সুপ্রিম কোর্ট। উল্লেখ্য, আরজি কর কাণ্ডে দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে ‘নবান্ন অভিযান’-এর ডাক দিয়েছিল নিজেদের অরাজনৈতিক সংগঠন বলে দাবি করা ‘পশ্চিমবঙ্গ ছাত্র সমাজ’। আর এই সংগঠনের অন্যতম মুখ সায়ন লাহিড়ি। ‘নবান্ন অভিযান’-এর আয়োজকরা জানিয়েছিলেন, তাঁরা শান্তিপূর্ণভাবে এই কর্মসূচি করবেন। কিন্তু কর্মসূচির জন্য পুলিশি অনুমতি ছিল না। নবান্ন যাওয়ার রাস্তায় বিভিন্ন জায়গায় ব্যারিকেড করে দেয় পুলিশ। আন্দোলনকারীরা সেই ব্যারিকেড টপকে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে জলকামান দাগে পুলিশ। ছোড়া হয় টিয়ার গ্যাসও। পাল্টা ইট নিক্ষেপের অভিযোগ ওঠে আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধে। কলকাতা এবং হাওড়ার বিভিন্ন অংশে উত্তেজনা তৈরি হয়। ২৭ অগস্ট সন্ধ্যাতেই পুলিশ অশান্তিতে উস্কানি দেওয়ার অভিযোগ তুলে সায়নকে গ্রেপ্তার করে। যদিও সায়নের জামিনের আবেদন মঞ্জুর করেছিলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি বিচারপতি অমৃতা সিনহা। তারই প্রেক্ষিতে গত শনিবার মুক্তি পান সায়ন। এদিকে তাঁর জামিনের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের দরজায় কড়া নাড়ে রাজ্য। সোমবার মামলাটি ওঠে সুপ্রিম কোর্টে। সায়নের জামিন সংক্রান্ত কলকাতা হাইকোর্টের কোনও নির্দেশে হস্তক্ষেপ করেনি সর্বোচ্চ আদালত। আদালতের অনুমতি ছাড়া সায়নের বিরুদ্ধে কোনও এফআইআর-এর প্রেক্ষিতে পদক্ষেপ করা যাবে না, এই নির্দেশও দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্টের অমৃতা সিনহার একক বেঞ্চ। সেই নির্দেশও বহাল রাখল সুপ্রিম কোর্ট। প্রসঙ্গত, জামিনে মুক্তি পাওয়ার পরই বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারীকে ধন্যবাদ জানিয়েছিলেন ‘অরাজনৈতিক সংগঠন’-এর এই মুখ।