টানা ২০ ঘণ্টার অবস্থান বিক্ষোভের শেষে লালবাজারে পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েলের সঙ্গে দেখা করলেন জুনিয়র চিকিৎসকরা। প্রায় দেড় ঘণ্টার আলোচনার শেষে লালবাজার থেকে বেরিয়ে আসেন জুনিয়র চিকিৎসকদের ২২ জনের প্রতিনিধি দলের সদস্যরা। সিপি বিনীত গোয়েলের পদত্যাগের দাবিতে তাঁকেই ডেপুটেশন জমা দেওয়া হয়। লালবাজার থেকে বেরিয়ে অনিকেত মাহাতো নামে এক আন্দোলনকারী চিকিৎসক জানান, ‘আমরা প্রায় দেড় ঘণ্টা ধরে ওনার সঙ্গে আলোচনা করেছি। তিনি তাঁর ভুল স্বীকার করেছেন। আমরা ওঁকে বলেছি গত ৯ আগস্ট, ১২ আগস্ট, ১৪ আগস্ট যে অশান্তি হয়েছে আরজি করে তার দায় কে নেবে? তার কোনও সদর্থক উত্তর উনি দিতে পারেননি। সিপি জানিয়েছেন তিনি তাঁর নিজের কাজে খুশি। তবে, উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ চাইলে তাঁকে সরাতে পারে। আমরা এখন লালবাজার থেকে অবস্থান তুলে নিচ্ছি। কিন্তু আমাদের আন্দোলন, কর্মসূচি যে রকম চলছিল সে রকম চলবে। জেলায় জেলায় হাসপাতালে যে বিক্ষোভ চলছে তাও জারি থাকবে।’ এদিন দুপুর ২.৪০ নাগাদ পুলিশকর্মীরা ধীরে ধীরে খুলতে থাকেন ব্যারিকেডের তালা। গার্ডরেল সরিয়ে নেওয়ার প্রক্রিয়াও শুরু হয়। জুনিয়র চিকিৎসকরা জানিয়েছিলেন, মানববন্ধন করে তাঁরা সিপির কাছে যাবেন শান্তিপূর্ণ ভাবে। সেই মতোই ব্যারিকেড সরানোর পর শান্তিপূর্ণ মিছিল করে পড়ুয়ারা বেশ কিছুটা এগিয়ে যান। তারপর ২২ জনের প্রতিনিধি দল কমিশনারের কাছে যান। আন্দোলনরত চিকিৎসকের তরফে অনিকেত মাহাতো বলেন, ‘এই ২২ ঘণ্টা দেরি করানোর কোনও প্রয়োজন ছিল না। সোমবার সকালেই এই দাবি মেনে নিলে সারারাত আমাদের বসে থাকতে হত না’। জুনিয়র চিকিৎসকদের এই আন্দোলনে সোমবার রাতেই পৌঁছে গিয়েছিলেন সোহিনী সরকার, চৈতি ঘোষাল, লগ্নজিতা চক্রবর্তীর মত শিল্পীরা। মঙ্গলবার সকালে লালবাজার চত্বরে দেখা যায় পরিচালক সৃজিত মুখার্জিকেও। তবে, সোমবার রাতে রাজনৈতিক স্বার্থসিদ্ধির গন্ধ পেয়ে তমলুকের বিজেপি সাংসদ অভিজিৎ গাঙ্গুলিকে কার্যত তাড়িয়ে ছাড়েন আন্দোলনকারীরা। এদিকে, মঙ্গলবার এই আন্দোলনে যোগ দেন বেশ কিছু চাকরিপ্রার্থী। ফলে, উত্তাপ বাড়ছিলই। বিধানসভায় একদিকে যখন ধর্ষণ বিরোধী বিল পাশ হল তখনই প্রশাসনিক সদিচ্ছারও নজির দেখল শহর কলকাতা।