ক্রাইম

প্রায় এক দশক ধরে ৭২ জন পুরুষকে দিয়ে স্ত্রীকে মাদক খাইয়ে অচেতন করে ৯২ বার ধর্ষণ, অবশেষে পুলিশের জালে স্বামী

স্ত্রীকে মাদক খাইয়ে অপরিচিত ব্যক্তিদের বাড়িতে ডেকে এনে ধর্ষণ করাতেন গুণধর স্বামী। প্রায় এক দশক ধরে চলে এমন কাণ্ড। অবশেষে পুলিশের জালে ধরা পড়েছেন কীর্তিমান। শুরু হয়েছে বিচার। এই ঘটনা ঘটেছে ফ্রান্সে। ৭১ বছর বয়সি ডমিনিক পি ফরাসি সরকারের অধীনস্থ পাওয়ার ইউটিলিটি কোম্পানির প্রাক্তন কর্মী। পুলিশ আদালতে জানিয়েছে, স্ত্রীকে ধর্ষণ করার জন্য মোট ৭২ জন পুরুষকে ডেকে এনেছিলেন তিনি। এর মধ্যে ৫০ জনের সঙ্গে অনলাইনে যোগাযোগ করেন। পরপুরুষ দিয়ে স্ত্রীকে মোট ৯২ বার ধর্ষণ করিয়েছেন ডমিনিক। ধর্ষিতার আইনজীবীরা জানিয়েছেন, মাদকের ঘোরে অচেতন থাকতেন, তাই এক দশক ধরে চলা নির্যাতনের বিষয়ে কিছুই টের পাননি মহিলা। আদালতে তিনি জানিয়েছেন, শুনানির সর্বজনীন করা হোক। গোটা দেশ জানুক তাঁর কীর্তিমান স্বামীর কথা। আদালত তাঁর আবেদন মঞ্জুর করেছে। মহিলার আইনজীবী স্টিফেন ব্যাবোনিউ বলেন, “তাঁর সঙ্গে যা ঘটেছে তা যেন আর কোনও মহিলার সঙ্গে না হয়। তাই সচেতনতা বাড়াতেই শুনানি সর্বজনীন করার দাবি জানিয়েছিলেন তিনি।’’ তাঁর আর এক আইনজীবী অ্যান্টোইন কামু বলেছেন, “ভয়াবহ অগ্নিপরীক্ষা হতে চলেছে।’’ কামু বলেছেন, দশ বছর ধরে এই ভয়াবহ কাণ্ড ঘটেছে। ২০২০ সালে বিষয়টা জানাজানি হয়। তবে নির্যাতনের কথা স্মরণে নেই মহিলার। কারণ তিনি অচেতন থাকতেন।’’ দম্পতির তিন সন্তান। মায়ের ধর্ষণের ঘটনা জানতে পেরেছেন তাঁরাও। সন্তানরাই সাহস যোগান। তারপরই স্বামীর বিরুদ্ধে মামলা করেন মহিলা। কামু বলেন, “ধর্ষকরা এখন মুখ লুকোতে চাইছে। আমরা সবার সামনে তাঁদের মুখোশ খুলে দিতে চাই। তাই বন্ধ দরজার পিছনে নয়, সর্বজনীন শুনানির দাবি জানানো হয়েছে।’’ ডমিনিক ধরা পড়েন শপিং মলে। তিন তরুণীর স্কার্টের নীচে মোবাইল ফোন ঢুকিয়ে ছবি তুলছিলেন তিনি। হাতেনাতে পাকড়াও করেন নিরাপত্তারক্ষীরা। শুরু হয় তদন্ত। তখনই কেঁচো খুঁড়তে কেউটে বেরিয়ে পড়ে। ডমিনিকের কম্পিউটার থেকে স্ত্রীর অসংখ্য ছবি এবং ভিডিও পায় পুলিশ। সবই অচেতন অবস্থায়। এরপরই জিজ্ঞাসাবাদে পরপুরুষ দিয়ে স্ত্রীকে ধর্ষণ করানোর কথা স্বীকার করেন ডমিনিক।