আলোচনা চেয়ে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় আন্দোলনরত ডাক্তারদের কাছে নবান্ন থেকে পাঠানো হল ই-মেইল। যদিও সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ- মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুরোধ- এসব সত্ত্বেও ধর্মঘট থেকে সরেননি জুনিয়র ডাক্তাররা। আজ মঙ্গলবার বিকেল ৫টার মধ্যে কাজে যোগদানের সুপ্রিম-নির্দেশ থাকলেও তা অমান্য করলেন ডাক্তাররা। শুধু সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশই নয়, সোমবার নবান্নর প্রশাসনিক পর্যালোচনা বৈঠক থেকেও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জুনিয়র ডাক্তারদের কাজে ফেরার আহ্বান জানান। কিন্তু কোনও নির্দেশ এবং অনুরোধে কান না দিয়ে ধর্মঘট চালিয়ে যাচ্ছেন ডাক্তাররা। অথচ হাসপাতালগুলিতে রোগীদের নিত্যযন্ত্রণা অব্যাহত। একের পর এক হাসপাতালে পরিষেবা না পেয়ে ফিরে যাচ্ছেন রোগীরা। পিছোচ্ছে পূর্ব-নির্ধারিত অস্ত্রোপচার। জরুরি বিভাগে রোগী এলেও ফিরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। এই ধর্মঘটের জেরে ভুগছেন লক্ষ লক্ষ গরিব অসহায় মানুষ। তাঁদের বেসরকারি হাসপাতালে মোটা টাকা দিয়ে চিকিৎসা করানোর ক্ষমতা নেই। তাঁরা নির্ভর করেন সরকারি হাসপাতালের উপরেই। কিন্তু ধর্ষণ-খুনের ঘটনার বিচার চেয়ে আন্দোলন করতে গিয়ে লক্ষ লক্ষ রোগী এবং তাঁর পরিবারেরা যে বিচার পাচ্ছেন না, চিকিৎসা পাচ্ছেন না তাতে কর্ণপাত করছেন না জুনিয়র ডাক্তাররা। আরজি করের ঘটনার বিচার সকলেই চান। তদন্ত এখন সিবিআইয়ের হাতে। সোমবার সুপ্রিম কোর্টের শুনানিতেও সিবিআই ধর্ষণ-খুনের ঘটনা নিয়ে পরিষ্কার চিত্র দিতে পারেনি। এই অবস্থায় তৃণমূল কংগ্রেসের দাবি, জবাব দিক সিবিআই। কিন্তু এভাবে আর কতদিন রোগী ফেরানো চলবে আন্দোলনের নামে? এবার জবাব দিন ডাক্তাররা।