কলকাতা

জুনিয়র ডাক্তারদের দাবি মেনে শেষপর্যন্ত – স্বাস্থ্য অধিকর্তা, স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিকর্তা, কলকাতার সিপি, ডিসি নর্থকে সরানোর সিদ্ধান্ত নিলেন মুখ্যমন্ত্রী

জল্পনা চলছিলই। জুনিয়র ডাক্তারদের দাবি মেনে শেষপর্যন্ত কলকাতা পুলিশ কমিশনারের পদ থেকে সরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিলেন মুখ্যমন্ত্রী। জানালেন, ‘আগামীকাল কাল চারটের পর আমরা কলকাতা পুলিশে বদল আনব। নতুন সিপিকে দায়িত্বভার বিনীত দেবেন’। সরানোর হবে ডিসি নর্থকেও। অবশেষে আলোচনার টেবিল জুনিয়র ডাক্তাররা। এদিন কালীঘাটের বাড়িতে তাঁদের সঙ্গে প্রায় আড়াই ঘণ্টা বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী। এরপর মিনিটস তৈরি করে চলে যায় আরও আড়াই ঘণ্টা। রাতে সাংবাদিক সম্মেলনে বলেন, ‘আমরা উভয়পক্ষই খুশি। এতক্ষ ধরে বিস্তারিত আলোচনা করতে পারলাম বলে। সরকারের পক্ষে মিনিটসে সই করেছেন মুখ্য়সচিব। মিনিটসে সই করেছেন ৪২ জন চিকিত্‍সক’। মুখ্যমন্ত্রী জানান, ‘ওদের পাঁচটা দাবি ছিল। তার মধ্যে প্রথম দাবি সিবিআই তদন্ত। ওটো সিবিআই করছে। সুপ্রিমকোর্টে তদারকি করছে। আমাদের হাতে নেই। স্বাস্থ্য দফতর থেকে তিনটে নাম দিয়েছিল। DME, DHS, আর স্বাস্থ্য দফতরের প্রিন্সিপাল সেক্রেটারি। আমরা ওদের বোঝালাম, একসঙ্গে যদি পুরো ঘরটা খালি করে দেওয়া হয়, তাহলে প্রশাসন চলবে কী করে। আমার ওদের কথামতো,  DME, DHS-কে সরানোর

সিদ্ধান্ত নিয়েছি’ । নবান্নের পর এবার কালীঘাট। শনিবার বৈঠক ভেস্তে যাওয়ার পর জুনিয়র ডাক্তাদের ঘাড়েই দায় চাপিয়েছিলেন স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। বলেছিলেন,  অনেক সময় পেয়েছেন ডাক্তাররা, তাও বৈঠকে রাজি হননি। জুনিয়র ডাক্তাদের পাল্টা দাবি ছিল, ভিডিওগ্রাফি বা লাইভি স্ট্রিমিংয়ের দাবি ছেড়ে দিয়েছিলেন তাঁরা। কিন্তু সেই কথা যখন বলতে যান, তখন সরকারের তরফে জানানো হয়, বৈঠক হবে না। আজ, সোমবার কালীঘাটে বৈঠকে বসার জন্য ফের জুনিয়র ডাক্তারদের মেইল করেন রাজ্যের মুখ্যসচিব। কখন বৈঠক? বিকেল ৫টায়। এরপর বৈঠকে বসেন জুনিয়র ডাক্তাররা। শেষপর্যন্ত পাল্টা মেইলে কালীঘাটে বৈঠকে বসতে রাজি হন আন্দোলনকারীরা। ঠিক হয়, বৈঠক চলাকালীন পুরো মিনিটস নথিবদ্ধ করতে হবে। বৈঠক শেষের অব্যবহিত পরেই দু’পক্ষ সই করবে সেই মিনিটসে। বৈঠকে যোগদানকারী প্রত্যেকের হাতে এই মিনিটসের কপি তুলে দিতে হবে। এদিকে হাইকোর্টের নির্দেশে যখন আরজিকর কাণ্ডে তদন্তে করছে সিবিআই, তখন সু্প্রিম কোর্টে  সরকারি হাসপাতাল ও মেডিকেল কলেজে চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করার আশ্বাস দিয়েছে রাজ্য সরকার। সূত্রের খবর, বৈঠকে একাধিক বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।  এমনকী, জুনিয়র ডাক্তাকদের দুটি প্রধান দাবিও নাকি মেনে নিয়েছে সরকার! সেক্ষেত্রে ধরনাস্থলে ফিরে নিজেকে বৈঠকের পরই কর্মবিরতি প্রত্যাহার নিয়ে সিদ্ধান্ত জানাবে আন্দোলনকারী।