বিক্ষোভস্থলে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে জুনিয়ার ডাক্তারদের প্রতিনিধি বলেন, “আন্দোলনকারীদের কাছে নতস্বীকার করল রাজ্য সরকার। ৩৮ দিন পর আমাদের জয়। এই জয় সাধারণ মানুষ, চিকিৎসক, নার্স সকলের। সবাই মিলে পাশে না থাকলে এই জয় সম্ভব ছিল না। আমাদের পাশে থাকার জন্য সকলকে ধন্যবাদ।” তিনি আরও বলেন, “আশ্বাস বাস্তবায়িত না হওয়া পর্যন্ত আমরা ধরনা বিক্ষোভ নিয়ে কোনও সিদ্ধান্ত নেব না। সুপ্রিম কোর্টের শুনানির পর আমরা আলোচনায় বসে সিদ্ধান্ত নেব।” জুনিয়র ডাক্তারদের স্পষ্ট কথা, যতক্ষণ না সিদ্ধান্তের বাস্তবায়ন হচ্ছে, অপসারণ করা হচ্ছে পুলিশ কমিশনারকে ততক্ষণ কর্মবিরতি যেমন চলছে, চলবে। পাশাপাশি তাঁরা জানান, সুপ্রিম কোর্টের শুনানির পর তাঁরা আলোচনায় বসে সিদ্ধান্ত নেবেন। মঙ্গলবারই রয়েছে শীর্ষ আদালতে আরজি কর মামলার শুনানি। কিন্তু ঠিক কোন বিষয়ে বৈঠকের পরও সন্তুষ্ট নন ডাক্তাররা? তাঁরা বলছেন, চিকিৎসক এবং স্বাস্থ্যকর্মীদের সুরক্ষার জন্য শুধু মাত্র টাস্ক ফোর্স গঠন করে এই সমস্যার সমাধানের কথা বলেছে সরকার। যেটা সম্ভব নয়। তবে এখনই সব রাস্তা বন্ধ নয়। তাঁরা আবার আলোচনায় বসতে চেয়েছেন। এছাড়া দুই স্বাস্থ্যকর্তাকে সরানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হলেও প্রিন্সিপাল স্বাস্থ্য সচিবকে সরানোর বিষয়ে কোনও সিদ্ধান্তে নিতে পারেননি মুখ্যমন্ত্রী। সেই বিষয়টি নিয়ে অসন্তুষ্ট জুনিয়র ডাক্তাররা।