কলকাতা

রাজ্য সরকার ৯৯ শতাংশ দাবি মানলেও ২৪ ঘন্টা কেটে গেলেও এখনও পর্যন্ত কর্মবিরতি তোলার ঘোষণা করলেন না জুনিয়র চিকি‍ৎসকরা!

রাজ্য সরকার ৯৯ শতাংশ দাবি মানলেও কর্মবিরতি তোলার ঘোষণা করলেন না জুনিয়র চিকি‍ৎসকরা। বরং মানুষকে চরম ভোগান্তির মধ্যে ফেলে জানিয়ে দিলেন, সোমবারের বৈঠকে রাজ্য সরকারের দেওয়া আশ্বাস বাস্তবায়িত না হওয়া পর্যন্ত ধর্না-বিক্ষোভ চলবে। মঙ্গলে সুপ্রিম কোর্টের শুনানির পরে কর্মবিরতি প্রত্যাহার করা হবে কিনা, সেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। মূলত জুনিয়র চিকি‍ৎসকদের এমন বাড়াবাড়িতে ক্ষুব্ধ রাজ্যের সিনিয়র চিকি‍ৎসকরা। তাঁদের মতে, ‘আন্দোলনের নামে জুনিয়র চিকি‍ৎসকরা যা করছেন, তা ব্ল্যাকমেলিং ছাড়া আর কিছু নয়।’ সূত্রের খবর, রাজ্য সরকারের সঙ্গে জুনিয়র চিকি‍ৎসকদের বৈঠক ভেস্তে দেওয়ার জন্য আড়কাঠি হয়ে আসরে নেমেছে সিপিএমের কট্টর ক্যাডার হিসাবে পরিচিত কলকাতা ও দক্ষিণ ২৪ পরগনার দুই বেসরকারি হাসপাতালের অন্যতম কর্ণধার। গত ৩৮ দিন ধরে জুনিয়র চিকি‍ৎসকদের আন্দোলনের পিছনে অকাতরে অর্থ ঢেলেছেন ওই দুই চিকি‍ৎসক কাম স্বাস্থ্য ব্যবসায়ী। জুনিয়র চিকি‍ৎসকদের আন্দোলনের নেতৃত্বে ওই দুই বেওসায়ী চিকি‍ৎসক তুলে নিয়ে আসেন নকশালপন্থী ছাত্র সংগঠন পিডিএসএফের দেবাশিস হালদার ও সিপিএম ঘনিষ্ঠ কিঞ্জল নন্দকে। গত ৩৮ দিন ধরে আন্দোলন নিয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে ওই দুই জন কার্যত তৃণমূল

সরকারের বিরুদ্ধে জনরোষ তৈরির চেষ্টা চালিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। বিজেপি মনোভাবাপন্ন জুনিয়র চিকি‍ৎসকদের একাংশের অভিযোগ, স্বাস্থ্য ভবন হোক কিংবা লালবাজার- অবস্থানস্থলে বিজেপি নেতা-নেত্রীরা এলে তাদের ঘিরে গো-ব্যাক শ্লোগান দেওয়া হয়েছে। অথচ সিপিএম এবং নকশাল নেতা-নেত্রীরা এলে তাদের ঘিরে জিন্দাবাদ শ্লোগান দেওয়া হয়েছে। গত কয়েকদিন স্বাস্থ্য ভবনের ধর্না মঞ্চের দখল নিয়েছে সিপিএম ও নকশালপন্থী রেড স্টারের ক্যাডাররা। এদিন কালীঘাটে মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির বৈঠক শেষে যখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আন্দোলনকারীদের একের পর এক দাবি মেনে নেওয়ার কথা ঘোষণা করেছিলেন, তখন জুনিয়র চিকি‍ৎসকরা উল্লাসে মেতে উঠেছিলেন। কিন্তু কালীঘাটের বাড়ি থেকে জুনিয়র চিকি‍ৎসকরা স্বাস্থ্য ভবনে পৌঁছনোর আগেই সেখানে ভিড় জমিয়েছিলেন সিপিএম ও নকশালপন্থীরা। শুরু হল উদ্দাম নাচ আর অশালীন শ্লোগানের মধ্য দিয়ে বিজয় উদযাপন। সবাই ধরে নিয়েছিলেন, রাতেই কর্মবিরতি তোলার ঘোষণা করবেন তথাকথিত আন্দোলনকারীরা। কিন্তু আন্দোলনকারীদের অন্যতম মুখ হয়ে ওঠা নকশালপন্থী পিডিএসএফের প্রথম সারির নেতা দেবাশিস হালদার ঘোষণা করেন, কর্মবিরতি তোলা হবে না। মুখ্যমন্ত্রীর আশ্বাস বাস্তবায়িত না হওয়া পর্যন্ত চলবে আন্দোলন। অর্থা‍ৎ সাধারণ মানুষের ভোগান্তি তাদের কাছে গৌণ। মুখ্য হল, রাজনৈতিক ফায়দা।