ডিভিসির ছাড়া জল ভাসিয়ে দিল গ্রামীণ হাওড়া ও হুগলির বেশ কিছু অঞ্চল। সোমবার রাতেই প্লাবিত হয়েছে আমতা ২ নং ব্লকের দ্বীপাঞ্চল উত্তর ভাটোরা, দক্ষিণ ভাটোরা, ঘোড়াবেড়িয়া, চিৎনান। হুগলির তারকেশ্বর, ধনেখালি ও জাঙ্গিপাড়া ব্লকের বেশ কিছু বাড়ি জলের নীচে চলে গিয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত কয়েক হাজার হেক্টর জমির ফসল। বুধবার হাওড়ার দ্বীপাঞ্চল ভাটোরার বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে। ভাটোরার দ্বীপাঞ্চলের তিনটি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকা পুরোপুরি জলের তলায়। কোথাও এক কোমর, আবার কোথাও গলা পর্যন্ত জল। আর এই জল পেরিয়েই মানুষকে প্রয়োজনে রাস্তায় বের হতে হচ্ছে। দীপাঞ্চলের বাসিন্দাদের যাতায়াতের জন্য কয়েকটি জায়গায় নৌকা চালানো হচ্ছে। এলাকার বাসিন্দাদের আশঙ্কা, ডিভিসি জল ছাড়ার পরিমাণ আরও বাড়ালে দুর্ভোগ আরও বেশি হবে। তাঁরা জানান, এবারের পরিস্থিতি ভয়াবহ। বিস্তীর্ণ এলাকার কৃষি জমি জলের তলায়। চাষের যে পরিমাণ ক্ষতি হয়েছে তা সামাল দেওয়া কষ্টকর। মুন্ডেশ্বরী নদীতে জলের স্রোত বৃদ্ধি পাওয়ায় আপাতত নৌকা চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। আমতার বিধায়ক সুকান্ত পাল জানান দীপাঞ্চলের বন্যা পরিস্থিতি অবনতি হচ্ছে। নদীর জল বিপদসীমার ওপর বইতে থাকায় বাঁধ ভাঙার আশঙ্কা করছেন বাসিন্দারা। দুর্গত এলাকায় নৌকায় পানীয় জলের পাউচ, ওষুধ, শুকনো খাবার পাঠানো হচ্ছে। পাশাপাশি এনডিআরএফ এবং বিপর্যয় মোকাবেলা বাহিনী এলাকায় কাজ করছে। অন্যদিকে মঙ্গলবার রাত থেকেই উদয়নারায়ণপুরে দামোদরের বাঁধ উপছে একাধিক গ্রামে জল ঢুকতে শুরু করেছে।