এক দেশ এক নির্বাচনের প্রস্তাব অনুমোদন করল কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা৷ দীর্ঘদিন ধরেই লোকসভা এবং বিধানসভা নির্বাচন একসঙ্গে করানোর জন্য তৎপর মোদি সরকার৷ গতকালই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ইঙ্গিত দিয়েছিলেন, শীঘ্রই ‘এক দেশ, এক ভোট’ প্রক্রিয়া লাগু হতে চলেছে দেশে। শাহের ইঙ্গিতের পর দিনই সেই প্রক্রিয়ায় আরও একধাপ এগিয়ে নিয়ে গেল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সরকার। বুধবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় পাশ হল ‘এক দেশ, এক ভোট’ কার্যকরের লক্ষ্যে প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ কমিটির সুপারিশ। শুধু তাই নয় জানা যাচ্ছে, আসন্ন শীতকালীন অধিবেশনেই এই সংক্রান্ত বিল পেশ হতে চলেছে সংসদে। ‘এক দেশ, এক নির্বাচনে’-এর বাস্তবতা খতিয়ে দেখতে প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের নেতৃত্বে একটি কমিটি গঠন করেছিল কেন্দ্র। গত মার্চ মাসে সেই কমিটি রাষ্ট্রপতি ভবনে গিয়ে দ্রৌপদী মুর্মুর কাছে রিপোর্ট জমা দেয়। যেখানে এই প্রক্রিয়ার পক্ষে মত দেয় কমিটি। অবশেষে বুধবার কোবিন্দ কমিটির সুপারিশে সবুজ সংকেত দিল নরেন্দ্র মোদির ক্যাবিনেট। প্রাথমিক প্রক্রিয়া শেষ হওয়ার পর এবার পরবর্তী প্রক্রিয়া হল সংসদে বিল পেশ। সূত্রের খবর, প্রস্তাবে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা ছাড়পত্র দেওয়ার পর সংসদের শীতকালীন অধিবেশনে এক দেশ, এক নির্বাচন সংক্রান্ত বিল পেশ করতে পারে কেন্দ্রীয় সরকার৷ এক দেশ, এক নির্বাচনের প্রস্তাবে ছাড়পত্র দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই তীব্র বিরোধিতা করেছে তৃণমূল কংগ্রেস৷ তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ ডেরেক ও ব্রায়েন এক্স হ্যান্ডেলে লেখেন, ‘এক দেশ, এক নির্বাচন গণতন্ত্র বিরোধী বিজেপির আরও একটি সস্তার চমক৷ মহারাষ্ট্রের বিধানসভা নির্বাচনের সঙ্গে কেন হরিয়ানা এবং জম্মু কাশ্মীরের নির্বাচন করানো হল না? কারণ জুন মাসে মহারাষ্ট্রে চালু হওয়া লড়কি বহিন প্রকল্পের প্রথম কিস্তির টাকা অগাস্ট মাসে উপভোক্তাদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ঢুকেছে৷ দ্বিতীয় কিস্তির টাকা ঢুকবে অক্টোবর মাসে৷ তিনটি রাজ্যের নির্বাচন যাঁরা একসঙ্গে করাতে পারেন না তাঁরা আবার এক দেশ, এক নির্বাচনের কথা বলছেন৷ একই সঙ্গে জানানো হোক, এর জন্য সংবিধানের কতগুলি সংশোধন করতে হবে এবং কতগুলি বিধানসভার মেয়াদ কমাতে অথবা বাড়াতে হবে? মোদি-শাহের জুমলার আদর্শ উদাহরণ৷’