কলকাতা

দায়িত্ব নিয়েই নিরাপত্তা খতিয়ে দেখতে আরজিকরে কলকাতার পুলিশের নয়া কমিশনার, বৈঠক করলেন অধ্যক্ষের সঙ্গেও, পুজোর নিরাপত্তা নিয়ে বৈঠকের ডাক

আরজিকর কাণ্ডের জেরেই রাজ্য পুলিশে বড় রদবদল। আন্দোলনকারী জুনিয়র চিকিৎসকদের দাবি মেনে নিয়ে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী কলকাতার পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েলকে সরিয়ে দেন। কলকাতার নতুন নগরপাল হন মনোজ বর্মা। দায়িত্ব পেয়েই একের পর এক পদক্ষেপ, সিদ্ধান্ত।  দায়িত্ব পেয়েই জোরকদমে কাজে নেমে পড়েছেন কলকাতার নতুন নগরপাল মনোজ ভার্মা। একদিকে আরজি কর এবং অন্যদিকে উৎসবের মরশুম। তাই দায়িত্ব নিয়েই বুধবার গোয়েন্দা বিভাগ ও আইবিকে সতর্ক করে দেন তিনি। তারপর বৃহস্পতিবার সকালে তিনি হাজির হন আরজি কর হাসপাতালে। সেখানে গিয়ে হাসপাতালের রাপত্তাব্যবস্থা খুঁটিয়ে দেখেন। সিআইএসএফ জওয়ানদের সঙ্গে নিরাপত্তা খতিয়ে দেখেন বলেও জানা গিয়েছে।তারপরই গোটা পরিস্থিতি নিয়ে বৈঠকে বসেন অধ্যক্ষের সঙ্গে। বৈঠক শেষে হাসপাতাল থেকে সোজা টালা থানা। সেখানেও হয় একপ্রস্থ বৈঠক। তারপর যান সিঁথি ও কাশীপুর থানায়। প্রয়োজনীয় নির্দেশ দেন পুলিশকর্মীদের। এর পর আগামী ২৫ তারিখ তিনি পুজো সংক্রান্ত একটি বৈঠক ডেকেছেন। ডিসি, এসি, ওসি-দের তলব করা হয়েছে সেই বৈঠকে। আরজি কর কাণ্ডে প্রথম থেকে পুলিশি গাফিলতির অভিযোগ তুলেছিলেন জুনিয়র চিকিৎসকরা। তাঁদের অন্যতম দাবি ছিল পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েলের অপসারণ। মঙ্গলবার জানা যায়, কলকাতার নতুন নগরপাল হলেন মনোজ বর্মা। মঙ্গলবারই কলকাতা পুলিশ কমিশনারের দায়িত্ব গ্রহণ করছেন তিনি। এর আগে মনোজ বর্মা ছিলেন রাজ্যের এডিজি (ল এন্ড অর্ডার)। সোমবার মমতা জানিয়েছিলেন, বিনীত গোয়েলকে সরানো হচ্ছে অন্য পদে। মঙ্গলবার জানা যায়, বিনীত হলেন রাজ্যের এডিজি এন্ড আইজিপি এসটিএফ। অর্থাৎ পশ্চিমবঙ্গ স্পেশাল টাস্ক ফোর্সের অতিরিক্ত ডিরেক্টর জেনারেল অফ পুলিশ এবং ইনস্পেক্টর জেনারেল।  বদল হয়েছে ডিরেক্টর, ডিরেক্টরেট অফ ইকোনমিক অফেন্সেস পদেও। এই পদে ছিলেন  জ্ঞানবন্ত সিং, তাঁর এসেছেন ত্রিপুরারী অথর্ব। এর আগে ত্রিপুরারী ছিলেন এডিজি এন্ড আইজিপি এসটিএফ, পশ্চিমবঙ্গ পদে। অন্যদিকে জ্ঞানবন্ত সিং গেলেন এডিজি এন্ড আইজিপি আইবি, পশ্চিমবঙ্গ পদে। এতদিন এডিজি এন্ড আইজিপি আইবি, পশ্চিমবঙ্গ ছিলেন জাভেদ শামিম। তিনি রাজ্যের নতুন এডিজি (ল এন্ড অর্ডার), যে পদে আগে ছিলেন মনোজ বর্মা। অন্যদিকে সোমবার রাতেই জানানো হয়েছিল, সরানো হবে ডিসি নর্থকে। ডিসি নর্থ অভিষেক গুপ্তকে সরানোর দাবি তুলেছিলেন আন্দোলনকারীরা। তাঁকে সরানো হল, তাঁর জায়গায় নতুন ডিসি নর্থ হলেন, দীপক সরকার। তিনি এর আগে ছিলেন ডিসি, ইস্ট শিলিগুড়ি।