আরজিকর ইস্যুতে চিকিৎসকদের কর্মবিরতির বিরুদ্ধেই মত দিল কেন্দ্র। আজ, শনিবার থেকে আন্দোলনরত ডাক্তাররা যোগ দিচ্ছেন জরুরি পরিষেবায়। এবং সেটাও কোন পর্যায়ে, তার সিদ্ধান্ত নেবেন পড়ুয়ারাই। অর্থাৎ, কর্মবিরতি আংশিক প্রত্যাহার করছেন তাঁরা। প্রতিবাদ-আন্দোলনের নামে এতদিন কাজে না ফেরার যে পদক্ষেপ জুনিয়র ডাক্তাররা নিয়েছেন, তাতে একেবারেই সমর্থন নেই কেন্দ্রীয় সরকারের। শুক্রবার ‘বর্তমান’-এর এক প্রশ্নের জবাবে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী জে পি নাড্ডা দ্ব্যর্থহীন ভাষায় জানিয়ে দিয়েছেন, ‘কোনও অবস্থাতেই চিকিৎসকরা রোগীদের অবহেলা করতে পারেন না। আন্দোলনের জেরে সাধারণ রোগীকে যেন কোনওভাবেই ভুগতে না হয়।’আর জি কর ধর্ষণ-খুনের মামলায় ডাক্তারদের প্রতিবাদ-আন্দোলনে উত্তাল দেশ। সাধারণ মানুষও রাস্তায় নেমেছে। বাম এবং অতিবাম সংগঠনগুলি তো আছেই, এর নেপথ্যচারী হিসেবে শোনা যাচ্ছে বঙ্গ বিজেপির নামও। কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের পক্ষ থেকে কিন্তু দলকে আগেই জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল, আন্দোলনকে সমর্থন করবেন, কর্মবিরতিকে নয়। ইতিমধ্যে স্বাস্থ্যমন্ত্রকও কর্মবিরতির বিরুদ্ধে নির্দেশ জারি করেছিল। এই অবস্থায় কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রীর এই বার্তা যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ। উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, জগৎপ্রকাশ নাড্ডা নিজেই বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি। তাঁর এই মন্তব্য তাই বঙ্গ বিজেপির অন্দরেও চাপ বাড়াল বলেই মনে করা হচ্ছে। নরেন্দ্র মোদি তৃতীয়বার প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর গত ১০০ দিনে কী কী কাজ করেছে তাঁর সরকার-এই সংক্রান্ত একটি রিপোর্ট কার্ড তুলে ধরছে বিভিন্ন মন্ত্রক। শুক্রবার ছিল স্বাস্থ্যমন্ত্রকের পালা। সত্তরোর্ধ্বদের আয়ুষ্মান ভারত হেলথ কার্ড দেওয়ার সিদ্ধান্ত থেকে শুরু করে মা ও শিশুর টিকার তথ্য ডিজিটাল ব্যবস্থায় নথিভুক্ত করার পোর্টাল (ইউ-উইন) চালুর প্রসঙ্গ তুলে ধরেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী নাড্ডা। ড্রোনের মাধ্যমে ২৫ কিমি দূরত্ব পর্যন্ত রোগীর নমুনা পরীক্ষার রিপোর্ট আদানপ্রদানের মতো ব্যবস্থাও ‘মোদি ৩.০’র সাফল্য বলেই উল্লেখ করেছেন তিনি। কিন্তু সব প্রসঙ্গই পিছনের সারিতে চলে গিয়েছে আর জি কর ইস্যুতে। তিনি বলেছেন, ‘ডাক্তারদের নিরাপত্তা নিয়ে আমরা সর্বদাই সজাগ। এই সংক্রান্ত মডেল আইন সব রাজ্যের কাছেই রয়েছে। রাজ্যগুলি সেগুলি কার্যকর করবে।’ তবে নাড্ডার সংযোজন, ‘ডাক্তারদের দাবির বিষয়ে কেন্দ্রীয় স্তরের প্রতিনিধিদলের সঙ্গে আমি বৈঠক করেছি। ওঁরা আশ্বস্ত হয়েছেন। তাই পরিষেবায় ফিরছেন। তবে হ্যাঁ, ডাক্তারদের আন্দোলন-বিক্ষোভের জেরে সাধারণ রোগীকে যেন সমস্যায় না পড়তে হয়। সেটাই আমার বার্তা।’