প্রথম ইনিংস
ভারত: ৩৭৬ (অশ্বিন ১১৩, জাদেজা ৮৬, হাসান ৮৩/৫)
বাংলাদেশ: ১৪৯ (শাকিব ৩২, মেহেদ ২৭, বুমরাহ ৫০/৪)
দ্বিতীয় ইনিংস
ভারত: ২৮৭/৪ (ডিক্লেয়ার) (শুভমান ১১৯, ঋষভ ১০৯, মেহেদি ১০৩/২)
বাংলাদেশ: ২৩৪ (শান্ত ৮৩, শাদমান ৩৫, অশ্বিন ৮৮/৬)
প্রথম টেস্টের লজ্জার হারের সম্মুখীন হতে হল বাংলাদেশকে। টিম ইন্ডিয়ার ঝড়ে উড়ে গেল বাংলাদেশ। ব্যাটে-বলে একতরফা দাপট দেখিয়ে ২৮০ রানের বিশাল ব্যবধানে জয় পেল টিম ইন্ডিয়া। একইসঙ্গে ২ ম্যাচের সিরিজে ১-০ লিড নিল রোহিত ব্রিগেড। চতুর্থ দিনের শুরুতেই টেস্ট পকেটে পুরে নিলেন রোহিতরা। বাংলাদেশ অধিনায়ক শান্তর মরিয়া লড়াই সত্ত্বেও মাত্র ২৩৪ রানে থেমে গেল টাইগারদের গর্জন। ফের ভেলকি দেখালেন অশ্বিন। তাঁর ৬ উইকেটে প্রথম সেশনের আগেই শেষ চেন্নাই টেস্ট। ৩ উইকেট নিয়ে সঙ্গ দিলেন রবীন্দ্র জাদেজাও। ব্যাটিংয়ের পর বল হাতেও সফল দুই তারকা। ভারত জিতল ২৮০ রানে। চেন্নাইয়ে সকাল থেকে আকাশ মেঘলা। আগের দিনও কম আলোর জন্য খেলা তাড়াতাড়ি শেষ করে দিতে হয়। এদিন সকালে ভারতের হয়ে বোলিং আক্রমণে আসেন মহম্মদ সিরাজ ও জশপ্রীত বুমরাহ। যদিও তাঁদেরকে সামলে দিলেন বাংলাদেশের দুই ব্যাটার। অবশেষে রোহিত এক প্রান্ত থেকে নিয়ে আসেন জাদেজাকে। চতুর্থ দিনের পিচে বল বিরাট টার্ন নিচ্ছে। তার পরই আসেন অশ্বিন। সকালে যেটুকু প্রতিরোধ ছিল, সেটাও হারিয়ে গেল অশ্বিনের স্পিন ধাঁধায়।ম্যাচ বাঁচানো একপ্রকার অসম্ভব জেনেও সকালের দিকে লড়াই চালাচ্ছিলেন শান্ত ও শাকিব। কিন্তু অশ্বিন আসতেই আবার বাংলাদেশ ব্যাটিংয়ের নখদন্তহীন চেহারাটা বেরিয়ে গেল। পেসাররা তেমন সাহায্য না পেলেও চতুর্থ দিনের পিচে বল বিরাট টার্ন করছিল। তারই ফায়দা তুললেন অশ্বিন-জাদেজা। অশ্বিনের বলে যশস্বীকে ক্যাচ দিয়ে শাকিব ফিরে গেলেন ২৫ রান করে। তার পর একদিকে রইলেন শান্ত। আর উলটো দিক থেকে দেখলেন অন্য ব্যাটারদের যাওয়া-আসা। লিটন দাস, মেহেদি হাসান, তাস্কিন কেউই আর সঙ্গ দিতে পারলেন না। একা কুম্ভ হয়ে লড়াই করেও শেষ পর্যন্ত জাদেজার বলে ক্যাচ দিয়ে ফিরে গেলেন শান্ত।অশ্বিন নিলেন ৬ উইকেট। জাদেজার পকেটে ঢুকল ৩ উইকেট। ভারত এগিয়ে গেল ১-০ ব্যবধানে। সেই সঙ্গে কোচ হিসেবে প্রথম টেস্ট জয় পেলেন গৌতম গম্ভীর। এর আগে তৃতীয় দিনের শেষে বাংলাদেশের রান ছিল ৪ উইকেট হারিয়ে ১৫৮। জাকির হাসান ও শাদমান ইসলামের ওপেনিং জুটিতে ওঠে ৬২ রান। সেই জুটি ভাঙেন বুমরাহ। অবশ্য বাঁদিকে ঝাঁপিয়ে যশস্বী যেভাবে ক্যাচ ধরেন, তাতে তাঁরও কৃতিত্ব প্রাপ্য। তার পর শুরু হয় অশ্বিনের জাদু। দ্রুত ফিরে যান মোমিনুল হক, মুশফিকুর রহিম। শাদমানও বাঁচতে পারেননি অশ্বিনের ঘূর্ণি থেকে।চেন্নাই টেস্টের প্রথম দিনের কিছুটা বাদ দিয়ে ভারতের দখলে ছিল। প্রথম ইনিংসে সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছিলেন অশ্বিন। পরে বুমরাহ দাপটে মাত্র ১৪৯ রানে থেমে যায় বাংলাদেশের ইনিংস। দ্বিতীয় ইনিংসে সেঞ্চুরি হাঁকান শুভমান গিল ও ঋষভ পন্থ। টেস্ট ক্রিকেটে প্রত্যাবর্তনেই সেঞ্চুরি করলেন পন্থ। তিনি করলেন ১০৯ রান। অন্যদিকে প্রথম ইনিংসের ব্যর্থতা কাটিয়ে গিল করলেন অপরাজিত ১১৯ রান। ২২ রান করে অপরাজিত রইলেন কেএল রাহুলও। ৪ উইকেট হারিয়ে ভারতের রান যখন ২৮৭।