কলকাতা

‘ওই দিনই Postmortem না হলে রক্তগঙ্গা বইবে, হুমকি নির্যাতিতার কাকা তথা প্রাক্তন কাউন্সিলরের’, বিস্ফোরক দাবি আরজিকরের চিকিৎসকের

আরজিকর কাণ্ডে ময়নাতদন্তে তাড়াহুড়ো নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছিল প্রথম থেকেই। এবার সেই প্রক্রিয়া নিয়ে বিস্ফোরক দাবি করলেন আরজিকর হাসপাতালের ফরেনসিক মেডিসিনের অধ্যাপক-চিকিৎসক অপূর্ব বিশ্বাস। রবিবার সিবিআই দপ্তর থেকে বেরিয়ে তিনি জানালেন, তড়িঘড়ি ময়নাতদন্ত করতে চাপ দিয়েছিলেন প্রাক্তন কাউন্সিলর। ‘রক্তগঙ্গা’ বওয়ানোর হুমকি দিয়েছিলেন তিনি। তবে কোন ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সেই ব্যক্তি, তা জানাতে পারেননি ফরেনসিক মেডিসিনের অধ্যাপক।  কলকাতার সরকারি হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ-খুনে তদন্তে সক্রিয় সিবিআই। রবিবারও হাসপাতালের প্রশাসনিক ভবনে তল্লাশি চালিয়েছে তাঁরা। বিরূপাক্ষ বিশ্বাস-সহ হাসপাতালের তিন চিকিৎসককে তলব করা হয়েছিল সিজিও কমপ্লেক্সের সিবিআই দপ্তরে। তাঁদের মধ্যে ছিলেন ফরেনসিক মেডিসিনের অধ্যাপক-চিকিৎসক। হাজিরার পর সন্ধেয় সিবিআই দপ্তর থেকে বেরিয়ে আসার সময় বিস্ফোরক দাবি করলেন তিনি। অপূর্ব বিশ্বাসের কথায়, “নিজেকে নির্যাতিতার কাকা পরিচয় দেওয়া এক্স কাউন্সিলর একজন ছিলেন। তিনিই বলেছিলেন, ওই দিন পিএম না হলে রক্তগঙ্গা বয়ে যাবে।” তবে ওই ‘কাকা’ নির্যাতিতার রক্তের সম্পর্কের কেউ নয় তা স্পষ্ট করে দিয়েছেন চিকিৎসক। তাঁর এই দাবির পরই উঠছে একাধিক প্রশ্ন। উল্লেখ্য, ‘অভয়া’র ময়নাতদন্ত নিয়ে লাগাতার প্রশ্ন উঠেছে সুপ্রিম কোর্টে। তাড়াহুড়ো করে ময়নাতদন্ত হয়েছে বলেও বার বার দাবি করা হয়েছে। অভিযোগ উঠেছে, রাজনীতির চাপ নিয়েও। এর মাঝেই এদিন ফরেনসিক অধ্যাপকের এই দাবি পর প্রশ্নের সংখ্যা আরও বাড়ল।  কে এই ‘কাকা’? তাঁর পরিচয় ঘিরে বাড়ছে ধোঁয়াশা। কেন তিনি দ্রুত ময়নাতদন্তের চাপ দিয়েছিলেন?