কলকাতা থেকে ব্যবসায়ীকে অপহরণ ! এরপর পরিবারে ফোন করে মুক্তিপণ চাওয়ার অভিযোগ । কলকাতা পুলিশের গুন্ডা দমন শাখার গোয়েন্দারা ওই ব্যবসায়ীকে উদ্ধার করল মালদা থেকে । শুধু উদ্ধার নয়, এই ঘটনায় যুক্ত থাকার সন্দেহে মোট ছয়জন অপহরণকারীকে গ্রেফতার করলেন কলকাতা পুলিশের গুন্ডা দমন শাখার গোয়েন্দারা । লালবাজার সূত্রে খবর, অনির্বাণ হাজরা নামে ওই ব্যবসায়ীর পরিবারের তরফে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয় । অভিযোগ করা হয়, ইএম বাইপাসের ধারে কসবা থেকে অপহরণ করা হয় ওই ব্যবসায়ীকে । এই ঘটনায় নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কলকাতা পুলিশের গুন্ডা দমন শাখার এক আধিকারিক বলেন, “গতকাল আমাদের কাছে একটা তথ্য আসে । জানানো হয়, অনির্বাণ হাজরা নামে এক ব্যবসায়ীকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে । এরপরেই কলকাতা পুলিশের গুন্ডা দমন শাখার গোয়েন্দারা ওই ব্যবসায়ীর মোবাইল ফোন ট্র্যাক করে জানতে পারেন, মালদার মোথাবাড়ি গ্রামে তাঁকে রাখা হয়েছে । ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ওখান থেকে তাঁকে উদ্ধার করি আমরা । ইতিমধ্যে ছ’জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে ।” লালবাজার সূত্রে খবর, ব্যবসায়িক শত্রুতার কারণে ওই ব্যবসায়ীকে অপহরণ করা হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে জানা যায় । ব্যবসায়ী বর্তমানে সুস্থ আছেন । তবে সঠিক কী উদ্দেশ্যে তাঁকে অপহরণ করা হয়েছিল, তার তদন্ত চলছে । এই বিষয়ে কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের এক উচ্চপদস্থ আধিকারিক বলেন, “রবিবার সকাল সাড়ে সাতটায় বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন ওই ব্যবসায়ী । কিন্তু অনেকটা সময় অতিক্রান্ত হয়ে যাওয়ার পরেও তিনি বাড়িতে না-ফেরায় সন্দেহ হয় তাঁর পরিবারের । বেলা সাড়ে ১২টা নাগাদ স্ত্রীর সঙ্গে তাঁর শেষ কথা হয় বলে জানা যায় । দুপুর আড়াইটা নাগাদ পরিবারের কাছে ফোন আসে । ফোনের অপরপ্রান্ত থেকে জানানো হয় যে অনির্বাণ হাজরাকে অপহরণ করা হয়েছে । জানা গিয়েছে, অপহরণকারীরা ২০ লক্ষ টাকা মুক্তিপণও দাবি করে । এরপরেই ব্যবসায়ীর স্ত্রী স্থানীয় থানার দ্বারস্থ হন । সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাটি জানানো হয় লালবাজারে । এরপরেই গুন্ডা দমন শাখা তড়িঘড়ি একটি বিশেষ দল গঠন করে তদন্তে নামে । লালবাজার সূত্রের খবর, অভিযুক্ত ছয়জনকে মালদা থেকে কলকাতায় আনা হবে । পাশাপাশি ওই ব্যবসায়ীকেও উদ্ধার করে কলকাতায় আনা হচ্ছে । সঙ্গে উদ্ধার হয়েছে একটি গাড়িও । গাড়িটি কার সেই খবর নেওয়া হচ্ছে ৷ কলকাতা পুলিশের ডিসি এসএসডি বিদিশা কলিতা জানান, ওই ঘটনায় ছ’জন গ্রেফতার করা হয়েছে । তাদের নাম জাহাঙ্গির শেখ, আবদুল সায়েম, মাসুম আনসারি, রকি আনসারি, গোলাম মোস্তাফা আর মামুন শেখ ।