ক্রাইম

‘পটকা ফাটলেও ভয় পেত’, বদলাপুর এনকাউন্টারে দাবি নিহতের মায়ের, শাসকদলের বিরুদ্ধে তথ্যপ্রমাণ লোপাটের অভিযোগ

বদলাপুরে স্কুল ছাত্রীদের যৌন হেনস্থার ঘটনায় অভিযুক্ত অক্ষয় শিন্ডের এনকাউন্টার নিয়ে শুরু রাজনৈতিক তর্জা। শাসকদলের বিরুদ্ধে তথ্যপ্রমাণ লোপাটের অভিযোগ তুলেছে বিরোধী শিবির। বন্দুক হাতিয়ে পালানোর চেষ্টা করায় অভিযুক্ত ওই যৌন নিগ্রহকারীকে লক্ষ্য করে গুলি চালায় পুলিশ। আর তাতেই মৃত্যু হয় অক্ষয়ের। আত্মরক্ষার স্বার্থে পুলিশের চালানোর গুলির তত্ত্বকে মানতে নারাজ মৃতের মা। হ্যান্ডকাফ পরা অবস্থাতে কী ভাবে অক্ষয়কে গুলি করা হলো, তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। ঘটনায় তদন্তের ভার নিতে পারে CBI। অভিযুক্তের মায়ের দাবি, ‘আমার ছেলে পটকা ফাটলে রাস্তা পার হতে ভয় পেত। সে কী ভাবে পুলিশকে গুলি করতে পারে? চাপের মুখে তাঁকে দিয়ে দোষ স্বীকার করানো হয়েছে। মারধর করেছে পুলিশ। পুলিশের দাবি, অক্ষয়ের বিরুদ্ধে আরও একটি ধর্ষণের মামলা রুজু হয়েছিল। আর সেটি করেছিলেন তার প্রাক্তন স্ত্রী। অন্যদিকে পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট উজ্জ্বল নিকম দাবি করেন, অক্ষয়ের বিরুদ্ধে পুলিশের কাছে যথেষ্ট প্রমাণ রয়েছে । বিষয়টি আদালতে গেলে তাকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হত। বদলাপুরের যৌন নিগ্রহের ঘটনায় মূল অভিযুক্তের মৃত্যুকে উঠে তাঁর নাম। মহারাষ্ট্র পুলিশের সিনিয়র ইনস্পেক্টর পদে রয়েছেন এই সঞ্জয় শিন্ডে। তাঁর ছোড়া গুলিতেই মৃত্যু হয় অক্ষয় শিন্ডের। মহারাষ্ট্র পুলিশের এনকাউন্টার স্পেশালিস্ট দলের সদস্যও এই আধিকারিক। বদলাপুরকাণ্ডে সরকার গঠিত বিশেষ তদন্তকারী দলের (SIT) সদস্য বেছে নেওয়া হয় সঞ্জয় শিন্ডেকে। অথচ একাধিক অভিযোগ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। ২০১২ সালে খুনের মামলার অভিযুক্ত বিজয় পালান্দেকে জেল থেকে পালাতে সাহায্য করেছিলেন বলে রটনা রয়েছে। যে গাড়িতে করে বিজয় পালান, সেই গাড়ি থেকে সঞ্জয়ের উর্দি পাওয়া গিয়েছিল। তারপর থেকেই বিশেষ স্ক্যানারে এই এনকাউন্টার স্পেশালিস্ট। এ ছাড়াও এক সহকর্মীর সঙ্গে গুলির লড়াইয়ে জড়িয়ে পড়ার অভিযোগও রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। ২০০০ সালে একটি অপহরণ মামলাতেও নাম জড়িয়েছিল সঞ্জয়ের।