বনদপ্তরের পাতা খাঁচায় বন্দি হল চিতাবাঘ। ঘটনাটি ঘটেছে বুধবার সকালে জলপাইগুড়ি জেলার আমবাড়ি চা বাগানে। বিগত ৯ সেপ্টেম্বর এই চা বাগানেই বনদপ্তরের পাতা খাঁচায় ধরা পড়ার পরও খাঁচা ভেঙে পালিয়ে গিয়েছিল একটি চিতাবাঘ। ঘটনার পর চা বাগানে চিতাবাঘের আতঙ্ক ছড়ায়। এরপরই বনদপ্তরের পক্ষ থেকে বাগানের ২৬ নম্বর সেকশানে নতুন আরেকটি খাঁচা পাতা হয়েছিল। প্রায় দুই সপ্তাহ পর ছাগল টোপ দিয়ে পাতা খাঁচায় বন্দি হল একটি পূর্ণবয়স্ক স্ত্রী চিতাবাঘ। তবে বনদপ্তরের সূত্রে খবর, খাঁচা ভেঙে পালিয়ে যাওয়া চিতাবাঘটি ছিল পূর্ণবয়স্ক পুরুষ। এদিন বন্দি হওয়া চিতাবাঘটি সেটি নয়। ফলে শ্রমিকদের আতঙ্ক সহজে কাটছে না। জানা গিয়েছে বানারহাট ব্লকের আমবাড়ি চা বাগান দীর্ঘদিন ধরেই চিতাবাঘ উপদ্রুত। বাগানের লোকালয় সংলগ্ন এলাকায় মাঝেমধ্যেই চিতাবাঘ ঘুরে বেড়াতে দেখা যায়। রাত হলে গবাদি পশু, হাঁস, মুরগির লোভে গৃহস্থের বাড়িতেও চিতাবাঘ হানা দেয়। বাগানে কাজ করা বা চা পাতা তোলার সময়েও আমবাড়ি সহ আশেপাশেই সমস্ত চা বাগানেই কর্মরত শ্রমিকদের উপর চিতাবাঘের হামলার ঘটনা ঘটে। এর থেকে বাঁচতে বনদপ্তরের পক্ষে শ্রমিকদের মধ্যে সচেতনতামূলক প্রচারও চালানো হয়। তবে লোকালয়ের কাছাকাছি এলাকায় চিতাবাঘ দেখা গেলে দুর্ঘটনা এড়াতে চা বাগান কর্তৃপক্ষ বনদপ্তরের কাছে খাঁচা পাতার আবেদন জানালে, বনদপ্তর সেই ব্যবস্থা করে।