একই দিনে নবান্ন, লালবাজার ও কালীঘাট অভিযানের হুঁশিয়ারি দিলেন শুভেন্দু অধিকারী ৷ বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী এও জানিয়ে দিয়েছেন, এই অভিযানের ক্ষেত্রে এবার আর অনুমতিও নেবে না বিজেপি। আরজি কর-কাণ্ডের প্রতিবাদ এবং নির্যাতিতার বিচার চেয়ে কালীঘাট অভিযানের ডাক দিয়েছিল বিজেপি। আর এই মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী, রাজ্য সভাপতি তথা কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার, দলের সহসভাপতি জগন্নাথ সরকার, দেবশ্রী চৌধুরী, লকেট চট্টোপাধ্যায়-সহ দলের প্রথম সারির নেতৃত্ব ৷ এই মঞ্চ থেকেই শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “আদালত থেকে অনুমতি এনে বিজেপি হাজরা মোড়ে সভা করছে। কিন্তু, এরপর বিজেপি আর অনুমতি চাইবে না। এরপর একই দিনে নবান্ন, লালবাজার ও কালীঘাট অভিযান হবে। আর এই অভিযান কবে হবে সেই তারিখটা শুধু দল ঠিক করে জানাবে।” দলের কাছে এই প্রস্তাব রাখলেন শুভেন্দু অধিকারী। এদিন তিনি আরও জানান, চাকরি প্রার্থীরা ইতিমধ্যেই তাঁর সঙ্গে বৈঠক করেছেন। শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “বিরোধী দলনেতা হিসেবে আমি তাঁদের নবান্নের দিকে লং মার্চ করার পরামর্শ দিয়েছি। আগামী বছর গোড়ার দিকে যে কোনও মাসে করুন। বন্ধ করুন সব রাস্তা। অচল করুন সব রাস্তা।” এর পাশাপাশি তিনি জনসাধারণকে আবেদন করেন, তাঁরা যেন বাংলাদেশে হিন্দু সংখ্যালঘুদের সঙ্গে যা করা হচ্ছে, তা যেন ভুলে না যায়। ফের এদিন মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগেরও দাবি জানিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী। এই বিষয় তিনি জানান, টালা থানার ওসি অভিজিৎ মণ্ডল গ্রেফতার হওয়ার পরে সিবিআই নিজের রিপোর্টে লিখেছে যে, তথ্য প্রমাণ লোপাট করা হয়েছে। তাই অবিলম্বে রাজ্যের পুলিশমন্ত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ করা উচিত ৷ বিজেপির নেতা-মন্ত্রী থেকে কর্মী-সমর্থক সকলেই প্রথা মেনে দুর্গা পুজো করবেন। কিন্তু সারা পুজো জুড়ে 1000-এরও বেশি জায়গায় ‘অভয়া মঞ্চট তৈরি করে স্বাক্ষর সংগ্রহের কাজ চলবে বলেও জানান তিনি। এরই সঙ্গে বিজেপি আড়াই কোটি সই সংগ্রহ করবে বলেও জানিয়েছেন শুভেন্দু। অন্যদিকে, এদিন বিজেপি রাজ্য সবাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, “আরজি কর নিয়ে আমরা আবার পুজোর পরে ঝাঁপাব ৷ পুজোর মধ্যেও সই সংগ্রহ করা হবে ৷ আপাতত পুজোর আগে আমাদের ধর্না শেষ ৷” তবে পুজোর পর বড় আন্দোলনেরও ডাক দিয়েছে বিজেপি ৷