জেলা

উৎসবের আবহে বন্যার্তদের ভুললে চলবে না, বন্যাত্রাণে মানুষের পাশে থাকতে হবে, কেন্দ্রকে দুষে নির্দেশ মমতার

উত্তরবঙ্গ বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে ফের কেন্দ্রকে দুষলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রবিবার বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে উত্তরকন্যায় বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘উত্তরবঙ্গে নেপাল থেকে কোশী নদীর জল ৬ লক্ষ কিউসেক টন জল ছেড়েছে। ওই জল বিহার হয়ে বাংলায় ঢুকছে। একদিকে সংকোশ নদীর জলে কোচবিহার, জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার বিধ্বস্ত। অন্যদিকে, নেপালের ছাড়া জল বিহার হয়ে ঢুকতে শুরু করেছে। ফলে মালদা, উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুরের বিস্তীর্ণ অঞ্চলে প্লাবনের আশঙ্কা রয়েছে।’ মহালয়ার সময় দুর্যোগের আশঙ্কা রয়েছে। এ জন্য স্থানীয় প্রশাসনকে কয়েকটি নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী। এদিন বৈঠকে প্রতিটি দপ্তরকে নিজের কাজ বুঝিয়ে দেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘একদিকে পুজো। অন্যদিকে বন্যার আশঙ্কা। প্রতিটি ক্ষেত্রে মানুষের পাশে থাকতে হবে। পুজো বলে বন্যাত্রাণের কাজে মানুষের পাশ থেকে সরে গেলে হবে না। বন্যাত্রাণে মানুষের পাশে দাঁড়াতে হবে।’ বন্যার কারণে কৃষকদের ফসলের ক্ষতির কথা মাথায় রেখে বাংলার শস্য বীমায় আবেদনের মেয়াদকালও বর্ধিত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি জানান, শস্য বিমার জন্য প্রতি বছর ৩১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সময়সীমা বেঁধে দেওয়া থাকে। কিন্তু এ বার সেপ্টেম্বরের শেষ সপ্তাহে এই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। সেই কারণে, শস্য বিমার আবেদনের সময়সীমা ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত বর্ধিত করা হয়েছে। বৃষ্টি থেমে গেলেই শস্য বিমার আওতায় টাকা দেওয়া হবে। কৃষকেরা যাতে উদ্বিগ্ন না হন এদিন সেই পরামর্শও দেন মুখ্যমন্ত্রী। এরপরই বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে বাংলার প্রতি অবহেলার অভিযোগে কেন্দ্রীয় সরকার এবং ডিভিসিকে দুষতে ছাড়লেন না মুখ্যমন্ত্রী। বলেন, ‘কেন্দ্রীয় সরকার বন্যায় আমাদের এক পয়সাও দেয় না। যদিও বন্যা নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ কেন্দ্রের অধীনে। ফরাক্কা বাঁধও ড্রেজিং করা হয় না। ঠিকমতো ড্রেজিং করলে ফরাক্কা বাঁধে আরও জল জমা রাখতে পারত। সেই কারণে বিহারও ডোবে, বাংলাও ডোবে। ড্রেজিং করা হলে আরও ৪ লক্ষ কিউসেক জল ধারণ করতে পারত। তা হলে এই জায়গাগুলি অনেকটা কম ভুগত।’