সোমবার আরজি কর মামলার শুনানিতে সুপ্রিম কোর্টে স্টেটাস রিপোর্ট জমা দিল সিবিআই। সিবিআই-এর স্টেটাস রিপোর্টে খতিয়ে দেখার পর প্রধান বিচারপতি বলেন, সিবিআই তদন্ত চলুক। এদিন শীর্ষ আদালত হাসপাতালে সিসিটিভি, সিকিউরিটি, বায়োমেট্রিকের ব্যবস্থা অগ্রগতি নিয়ে রাজ্যকে প্রশ্ন করে। রাজ্যকে প্রশ্ন প্রধান বিচারপতির করেন, সিসিটিভি, সিকিউরিটি, বায়োমেট্রিকের ব্যবস্থা কতদূর? রাজ্যের আইনজীবী জানান, কাজ এগোচ্ছে। আরও কিছু সময় লাগবে। রাজ্যে বন্যা পরিস্থিতি, সেই কারণে কাজ কিছুটা থমকে গিয়েছে। ১০ অক্টোবরের মধ্যে সিসিটিভি বসানোর কাজ হয়ে যাবে বলে আশ্বস্ত করেন তিনি। জুনিয়র ডাক্তাররা বারবার অভিযোগ করেছে রাজ্যের হাসপাতালগুলিতে নিরাপত্তার অভাব রয়েছে। হাসপাতালে ভয়ের পরিবেশ রয়েছে। সেই রেস্ট রুম, নজরদারিতে নেই পর্যাপ্ত সিসিটিভি। পরিকাঠামো ও নিরাপত্তার দাবিতে দীর্ঘ ৩৫ দিনের উপর জুনিয়র ডাক্তাররা ক্রমবিরতিতে বসেছিলেন। এর আগে শেষ শুনানি হয়েছিল ১৭ সেপ্টেম্বরও শীর্ষ আদালত রাজ্যকে নির্দেশ দিয়েছিল হসপাতালে সিসিটিভি বসানো, শৌচালয় নির্মান, ও নিরাপত্তার দিকটা দ্রুত শেষ করতে নির্দেশ দিয়েছিল। সোমবার এই মামলার শুনানিতে সুপ্রিম কোর্ট রাজ্যের কাছে জানতে চায়, সিসিটিভি বসানোর কাজ কতদূর এগিয়েছে। রাজ্যের আইনজীবী জানান, ১৫ অক্টোবরের মধ্যে ২৮টি হাসপাতালে সিসিটিভি বসানো এবং শৌচাগার নির্মাণ ও সংস্কারের কাজ হয়ে যাবে। আইনজীবীর কথা শুনে রাজ্যকে সিসিটিভি বসানোর জন্য সময়সীমা বেঁধে দিল সুপ্রিম কোর্ট। প্রধান বিচারপতি নির্দেশ দেন, যাতে ৩১ অক্টোবরের মধ্যে কাজ সম্পূর্ণ হয় তা রাজ্যকে নিশ্চিত করতে হবে। রাজ্য আরও জানিয়েছে, সিসিটিভি মোট ৬,১৭৮টি সিসিটিভির মধ্যে ২৬% বসানো হয়েছে। বাকি ১০ অক্টোবরের মধ্যে হয়ে যাবে। টেন্ডার, কাজের প্রক্রিয়া বন্যা পরিস্থিতি, তহবিলের জন্য বিলম্বিত হচ্ছে। আরজি কর হাসপাতালে ডিউটি রুমের টেন্ডার হওয়ার পরে কাজ থমকে রয়েছে।