মুখ্যসচিবের সঙ্গে ডাক্তারদের বৈঠকেও মিলল না সমাধান সূত্র। চিকিৎসক সংগঠনের সঙ্গে বৈঠকে বসেছিলেন মুখ্য়সচিব মনোজ পন্থ। বৈঠক থেকে বেরিয়ে হতাশা প্রকাশ করলেন সিনিয়র চিকিৎসকেরা। সরকারের তরফে ১০ দফা দাবি পূরণের বিষয় কোনও প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়নি। বৈঠক শেষে জানান চিকিৎসকদের প্রতিনিধি। সোমবার স্বাস্থ্যভবনে প্রায় আড়াই ঘণ্টা ধরে বৈঠক করেন ১২ চিকিৎসক সংগঠনের প্রতিনিধি।ছিলেন মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ, স্বরাষ্ট্রসচিব নন্দিনী চক্রবর্তী। তবে বৈঠকে স্বাস্থ্য সচিব উপস্থিত ছিলেন না। কেন তিনি বৈঠকে ছিলেন না তা সঠিক উত্তর মেলেনি। চিকিৎসকরা বলেন, আমরা ওঁকে দ্রোহ কার্নিভালে আসার জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছি। অন্যদিকে জুনিয়র ডাক্তারদের অনশন প্রত্যাহার করার আর্জি জানিয়েছেন মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ। জুনিয়র ডাক্তারদের অনশন সোমবার ১০ দিনে পড়ল। কর্মক্ষেত্রে নিরাপত্তা, স্বাস্থ্য পরিকাঠামোর উন্নতি সহ ১০ দফা দাবি নিয়ে অনশনে বসেছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। তাদের এই আন্দোলনকে সমর্থন জানিয়েছেন সিনিয়ররা। মধ্যস্থতা করতেই এদিন চিকিৎসক সংগঠনগুলির প্রতিনিধিরা মুখ্যসচিবের সঙ্গে বৈঠকে বসেন। দীর্ঘ আড়াই ঘণ্টার বৈঠক হয়। দুপুর সাড়ে ৩টে নাগাদ চিকিৎসক সংগঠনের প্রতিনিধিরা বৈঠক থেকে বেরিয়ে হতাশা প্রকাশ করলেন। তাঁদের বক্তব্য, সরকার কোনও লিখিত প্রতিশ্রুতি দেয়নি জুনিয়র ডাক্তারদের ১০ দফা দাবি পূরণের বিষয়ে। তাই সরকার স্বাভাবিক পরিস্থিতি ফেরানোর আর্জি জানালেও তা সম্ভব নয় বলেছেন সিনিয়র চিকিৎসকেরা। থ্রেট কালচারে অভিযুক্তেরা ঘুরে বেড়াচ্ছে। দুর্নীতিগ্রস্ত লোকেরা স্বাস্থ্য প্রশাসনে বিভিন্ন উচ্চ পদে বহাল রয়েছেন। এর পরে কী ভাবে স্বাভাবিক পরিস্থিতি ফেরানো সম্ভব? তারা আরও বলেন, জুনিয়র ডাক্তারদের অনশন ১০ দিনে পড়ল। তাঁদের স্বাস্থ্য়ের ক্রমশ অবনতি হচ্ছে। এই অনশন তুলতে রাজ্য সরকার পদক্ষেপ নিক। এই মুহূর্তে সবচেয়ে জরুরি হল ডাক্তারদের ১০ দফা দাবি মেনে নেওয়া হোক।