বক্সিংয়ের জোড়া সার্টিফিকেটের অধিকারী আরজিকর কাণ্ডে ধৃত কলকাতা পুলিশের সিভিক ভলান্টিয়ার সঞ্জয় রাই! ৭ অক্টোবর সিবিআই শিয়ালদহ আদালতে পেশ করা চার্জশিটে এই বিষয়টির উল্লেখ করেছেন। যা অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন কলকাতার গোয়েন্দাদের একাংশ। চার্জশিটের ১৩ নম্বর পাতার একদম শেষ ছত্রে বিষয়টির উল্লেখ করেছে সিবিআই। ঠিক কী বলা হয়েছে চার্জশিটে, ‘ভবানীপুর বক্সিং অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে এই সঞ্জয় রায়কে ২০০৩ সালের ১৬ ডিসেম্বর এবং ২০০৪ সালের ১ জানুয়ারি মোট দুটি সার্টিফিকেট প্রদান করা হয়েছে।’ ২০১৮ সালে ২৯ অক্টোবর কলকাতা পুলিসের সিভিকে চাকরি পাওয়ার আগে ভবানীপুর থানা এলাকার নারায়ণ নন্দন লেনে অবস্থিত ভবানীপুর বক্সিং অ্যাসোসিয়েশনে নিয়মিত বক্সিং প্রশিক্ষণ নিয়েছেন সঞ্জয় রাই। স্বাভাবতই প্রশ্ন উঠছে, এত কিছু থাকতে সিবিআই কেন সঞ্জয়ের বক্সিংয়ের জোড়া সার্টিফিকেটের কথা চার্জশিটে উল্লেখ করতে গেল? নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা আধিকারিক বলছেন, আরজিকর ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায়, চিকিৎসক সমাজের পাশাপাশি সাধারণ মানুষের একটা বড় অংশের বদ্ধমূল ধারণা রয়েছে, এককভাবে সঞ্জয় রায় ধর্ষণ ও খুন করতেই পারে না। নিঃসন্দেহে সিবিআই হাতে আসা সঞ্জয়ের বক্সিংয়ের এই জোড়া সার্টিফিকেট আগামী দিনে রুদ্ধদ্বার কক্ষে বিচারপর্বে তরূপের তাস হতে চলেছে। এই সার্টিফিকেট পেশ করে সিবিআইয়ের গোয়েন্দারা প্রমাণ করতে চাইবেন, আর পাঁচজন সিভিকের সঙ্গে সঞ্জয়ের তফাত রয়েছে। সিবিআইয়ের আইনজীবী দাবি করবেন, একজন মহিলার শরীরের ঠিক কোথায় কীভাবে আঘাত করলে তাঁর মৃত্যু হতে পারে, বক্সিং জানার সুবাদে সে সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা ছিল সঞ্জয় রাইয়ের। পাশাপাশি, চার্জশিটের এই ১৩ নম্বর পাতাতেই সিবিআই দাবি করেছে, ধৃত সঞ্জয় রায় তিনটি বিয়ের কথা সাল সহ উল্লেখ করেছেন। পাশাপাশি ৮ আগস্ট ঘটনার রাতে সঞ্জয় এক সহকর্মীর সাথে চেতলার নিষিদ্ধপল্লিতে যাওয়ার কথা সিবিআই উল্লেখ করেছেন। পরপর তিন বিয়ে এবং প্রতিদিন নিষিদ্ধ পল্লিতে যাওয়ার তথ্য বিচারপর্বে সিবিআইকে সঞ্জয় রাইয়ের মনস্তত্ত্ব আদালতের সামনে তুলে ধরতে বাড়তি সুবিধা দিবে বলে গোয়েন্দাদের বিশ্বাস।