গত দু’দিনে পরপর বিমান উড়িয়ে দেওয়ার হুমকি। জানা গিয়েছে, অন্তত ১০টি উড়ানে বোমাতঙ্ক দেখা দিয়েছিল এই দুই দিনে। সবকটি ক্ষেত্রেই এই হুমকি ভুয়ো বলে জানা গিয়েছে। তবে এই ধরনের ঘটনায় স্বভাবতই আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে যাত্রীদের মধ্যে। রিপোর্ট অনুযায়ী, এর মধ্যে বেশ কয়েকটি আন্তর্জাতিক উড়ানও বোমা মেরে উড়িয়ে দেওয়ার হুমকি এসেছে গত ৪৮ ঘণ্টায়। এর মধ্যে রয়েছে দিল্লি থেকে টেকঅফ করা শিকাগোগামী এক উড়ান। এয়ার ইন্ডিয়ার সেই উড়ানে ২১১ জন যাত্রী ছিলেন। পরে সেই বিমানটিকে কানাডার দিকে ঘুরিয়ে দেওয়া হয় এবং সেখানেই নিরাপদে সেটি অবতরণ করেছিল। জানা গিয়েছে, গত ৪৮ ঘণ্টায় যতগুলি হুমকি এসেছে, তার মধ্যে ৭টি করা হয়েছে মাইক্রোব্লগিং প্ল্যাটফর্ম এক্স-এর মাধ্যমে। এর জেরে কোনও ক্ষয়ক্ষতি অবশ্য হয়নি। তবে চরম ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে কয়েকশো যাত্রীকে। উড়ান সংস্থাগুলিও বিপাকে পড়েছে এর জেরে। রিপোর্টে জানা গিয়েছে, জয়পুর থেকে অযোধ্যা হয়ে বেঙ্গালুরুর আইএক্স৭৬৫ নং এয়ার ইন্ডিয়া এক্সপ্রেস উড়ান, দ্বারভাঙা থেকে মুম্বইয়ের এসজি১১৬ নং স্পাইসজেট উড়ান, বাগডোগরা থেকে বেঙ্গালুরুগামী কিউপি১৩৭৩ আকাসা এয়ারের উড়ান, দিল্লি থেকে শিকাগোগামী এআই১২৭ এয়ার ইন্ডিয়ার উড়ান, সৌদি আরবের দাম্মাম থেকে লখনউগামী ৬ই৯৮ ইন্ডিগোর উড়ান, অমৃতসর থেকে দেহরাদুনগামী ৯আই৬৫০ অ্যালায়েন্স এয়ার এবং মাদুরাই থেকে সিঙ্গাপুরগামী আইএক্স৬৮৪ এয়ার ইন্ডিয়া এক্সপ্রেস উড়ান বোমা দিয়ে উড়িয়ে দেওয়ার হুমকি এসেছে গত ৪৮ ঘণ্টায়। এই আবহে এই বিমানগুলি বিভিন্ন সময়ে গন্তব্যের উদ্দেশে না গিয়ে মাঝপথেই কোথাও একটা জরুরি অবতরণ করছে। এতে উড়ান সংস্থাগুলির লোকসান বাড়ছে। সেই সব বিমানে থাকা যাত্রীরা মানসিক যন্ত্রণা ভোগ করছেন এবং হেনস্থার শিকার হচ্ছেন।