ফের একবার জম্মু ও কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রীর মসনদে বসেছেন ন্যাশনাল কনফারেন্স পার্টির ওমর আবদুল্লা। আর মুখ্যমন্ত্রীর পদে বসেই প্রথমেই তিনি জম্মু ও কাশ্মীরের রাজ্যের মর্যাদা ফিরিয়ে আনার বিষয়ে সচেষ্ট হয়েছেন। আজ শুক্রবার, জম্মু ও কাশ্মীরের নবগঠিত মন্ত্রিসভা জম্মু ও কাশ্মীরের রাজ্যের মর্যাদা ফিরিয়ে আনার বিষয়ে প্রস্তাব পাশ করেছে। ভূস্বর্গের সচিবালয়ে মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর আজ প্রথমবার মন্ত্রিসভার বৈঠকে যোগ দেন ওমর আবদুল্লা। তাঁর মন্ত্রিসভার বৈঠকে ছিলেন উপমুখ্যমন্ত্রী সুরিন্দর কুমার চৌধুরি, সঙ্গে ছিলেন মন্ত্রী সকিনা ইট্টু, জাভেদ আহমেদ রানা, সতীশ শর্মা সহ অনেকে। এই বৈঠকেই পাশ হয়েছে মন্ত্রিসবার প্রস্তাব। যে প্রস্তাবে জম্মু ও কাশ্মীরের রাজ্যের মর্যাদা ফিরিয়ে আনার কথা বলা হয়েছে। তবে বিষয়টি নিয়ে সরকারিভাবে কোনও বক্তব্য রাখা হয়নি। আবদুল্লার পার্টির তরফেও এখনও পর্যন্ত কিছু জানানো হয়নি।
যে রাজ্যের মর্যাদা ইস্যুতে গদিতে বসার পর থেকেই সক্রিয় হতে শুরু করেছেন কাশ্মীরের নব নির্বাচিত মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লা, সেই রাজ্যের মর্যাদার ইস্যুর বিষয়টির যোগসূত্র রয়েছে ২০১৯ সালে ৫ অগস্ট মোদী সরকারের এক সিদ্ধান্তের সঙ্গে। ইতিহাসের পাতা ওলটালে দেখা যাবে, ২০১৯ সালের ৫ অগস্ট দিল্লির সংসদ থেকে এক ঐতিহাসিক ঘোষণায় জম্মু ও কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা বাতিল করার ঘোষণা করা হয়। ফলে বিশেষ মর্যাদা হারায় ভূস্বর্গ। ওই সঙ্গেই জম্মু ও কাশ্মীর থেকে কেড়ে নেওয়া হয় রাজ্যের তকমাও। জম্মু ও কাশ্মীরকে ভেঙে, জম্মু ও কাশ্মীর, লাদাখ এমন দুটি কেন্দ্র শাসিত অঞ্চল ঘোষণা করা হয়। মোদী সরকারের এই সিদ্ধান্তের যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে সুপ্রিম কোর্টে বহু মামলাও দায়ের হয়েছে।