শুক্রবার মুম্বই ট্রাফিক পুলিশের একটি হোয়াটসঅ্যাপ নম্বরে এসেছে হুমকি বার্তা। যেখানে বলিউড অভিনেতা সলমন খানের কাছ থেকে ৫ কোটি টাকা দাবি করা হয়েছে। প্রেরক হুমকি দিয়ে বলেন, টাকা না দিলে ‘বাবা সিদ্দিকির থেকেও খারাপ হবে সলমন খানের অবস্থা’। সেই হোয়াটসঅ্যাপ ম্যাসেজে লেখা ছিল, ‘হালকাভাবে নেবেন না, সলমন খান যদি বেঁচে থাকতে চান এবং লরেন্স বিষ্ণোইয়ের সঙ্গে শত্রুতা শেষ করতে চান, তাহলে তাকে ৫ কোটি টাকা দিতে হবে। আর টাকা না দিলে বাবা সিদ্দিকির থেকেও খারাপ হবে সলমন খানের অবস্থা।’ গত ১২ অক্টোবর রাতে মুম্বইয়ের বান্দ্রায় নিজের বিধায়ক ছেলে জিশান সিদ্দিকির অফিসের বাইরে গুলি করে হত্যা করা হয় মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মন্ত্রী ও ন্যাশনালিস্ট কংগ্রেস পার্টির নেতা বাবা সিদ্দিকিকে।পু লিশ এখনও পর্যন্ত হরিয়ানার বাসিন্দা গুরমেইল বলজিৎ সিং (২৩), উত্তরপ্রদেশের ধর্মরাজ রাজেশ কাশ্যপ (১৯), হরিশকুমার বলক্রম নিসাদ (২৩) এবং শুভম লোঙ্কারের ভাই প্রবীণ লোঙ্কারকে গ্রেফতার করেছে। এদিকে বুধবার রাতে নবি মুম্বইয়ের পানভেল টাউন পুলিশের একটি দল হরিয়ানার পানিপথ থেকে অভিযুক্ত সুখা ওরফে সুখবীর বলবীর সিংকে গ্রেফতার করেছে। অভিযোগ, বিষ্ণোই গ্যাংয়ের সদস্যদের সলমন খানকে খুন করার বরাত দিয়েছিল সে। পাকিস্তানে বসবাসকারী ডোগারের সঙ্গে সুখবীর সিংয়ের যোগাযোগ ছিল বলে জানা যাচ্ছে। লরেন্স বিষ্ণোই গ্যাংয়ের সদস্যদের সঙ্গে মিলে একে-৪৭, এম১৬ এবং একে-৯২-এর মতো অস্ত্র ব্যবহার করে সলমন খানকে খুন করার ছক কষেছিল সিং। চলতি বছরের ২৪ এপ্রিল নবি মুম্বই পুলিশ বিষ্ণোই গ্যাংয়ের ১৮ জন চিহ্নিত অভিযুক্ত এবং অন্যান্যদের বিরুদ্ধে সলমান খানকে হত্যার ষড়যন্ত্র করার অভিযোগে মামলা দায়ের করে। অভিনেতার বান্দ্রার বাড়ির বাইরে বিষ্ণোই গ্যাংয়ের সদস্যদের গুলি চালানোর পরে করা হয় এই মামলা। এফআইআরে অভিযুক্ত হিসেবে নাম রয়েছে গ্যাংস্টার লরেন্স বিষ্ণোই, তাঁর ভাই আনমোল, সম্পত নেহরা, গোল্ডি ব্রার এবং রোহিত গোধারার। নবি মুম্বই পুলিশ এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই বিষ্ণোই গ্যাংয়ের পাঁচ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে – ধনঞ্জয় ওরফে অজয় কাশ্যপ ওরফে নাহভি, গৌরব ভাটিয়া, ওয়াস্পি খান ওরফে ওয়াসিম চিকনা, রিজওয়ান খান ওরফে জাভেদ এবং দীপক হাওয়া সিং ওরফে জন। গ্রেফতারের পর জুন মাসে পুলিশ দাবি করে, পানভেলের কাছে নিজের ফার্মহাউসে যাওয়ার পথে অভিনেতাকে টার্গেট করার ষড়যন্ত্র ছিল অভিষুক্তদের।তদন্তে জানা গিয়েছে, বান্দ্রার বাড়ি, পানভেলের ফার্মহাউস ও ছবির শ্যুটিংয়ের জায়গায় রেইকি করার জন্য ৬০ থেকে ৭০ জন সদস্যকে মোতায়েন করেছিল লরেন্স বিষ্ণোই ও সম্পত নেহরার গ্যাং।