কলকাতা

বাংলায় ঝড় না হলেও হচ্ছে বিক্ষিপ্ত ভারী বৃষ্টি, সারা রাত কাটিয়ে সকালেও নবান্নে বসে নজরদারি মুখ্যমন্ত্রীর

ঘূর্ণিঝড় দানার পরিস্থিতির ওপর নজর রাখতে সারা সাত নবান্নেই ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বাংলার ওপর সেভাবে প্রভাব পড়েনি ঘূর্ণিঝড়ের। তবে আজ সকাল থেকেই ভারী বৃষ্টি শুরু হয়েছে দক্ষিণবঙ্গের সব জেলাতেই। এই আবহে আজ সকালেও নবান্নেই বসে পরিস্থিতির ওপর নজর রখলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কন্ট্রোল রুম থেকেই উপকূলবর্তী জেলাগুলোর জেলাশাসকদের সঙ্গে ফোনে কথা বলছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই এলাকায় ক্ষয়ক্ষতির বিষয়ে খোঁজ নিচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী।  রিপোর্ট অনুযায়ী, ঝড়ের জেরে গঙ্গাসাগরের বিভিন্ন এলাকায় গাছ পড়ে রাস্তা অবরুদ্ধ হয়ে আছে। বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর কর্মীরা গাছ কেটে সেই সমস্ত রাস্তাগুলো পরিষ্কার করার কাজ শুরু করেছেন। এদিকে ভারী বৃষ্টি চলছে মন্দারমণি, দীঘা জুড়ে। এই আবহে স্বাভাবিকের তুলনায় আজ একটু বেশি উত্তাল রয়েছে সমুদ্র। অপরদিকে কুলতলী সহ সুন্দরবনের বিস্তীর্ণ এলাকায় ঘূর্ণিঝড় দানার প্রভাব সেভাবে পড়েনি। গভীর রাতে নদীর জল ফুলে ফেঁপে উঠলেও সকাল থেকে ঢেউ অনেক কম। তবে সকাল থেকে সেখানে শুরু হয়েছে মুষলধারে বৃষ্টি।  এদিকে ভোররাত থেকে চলতে থাকা বৃষ্টির জেরে শহরের বিভিন্ন জায়গায় জল জমেছে। এই আবহে পরিস্তিতি স্বাভাবিক করার চেষ্টা করছে পুরভার কর্মীরা। অপরদিকে কলকাতা পুরসভার গেটেই হাঁটু পর্যন্ত জল জমে গিয়েছে। কলকাতা পুরসভার কন্ট্রোল রুমের সামনে জমা জল ডিঙিয়ে নিজেদের ডিউটি করতে আসছেন পুরকর্মী থেকে আধিকারিকরা। কন্ট্রোল রুমের ভিতরে যখন তৎপরতা তুঙ্গে তখন তার বাইরে প্রায় হাঁটু পর্যন্ত জল জমা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। প্রসঙ্গত, নাগরিক পরিষেবা স্বাভাবিক রাখতে কলকাতা পুরসভার আধিকারিকদের ছুটি বাতিল করা হয়েছিল আগেই। নিকাশি, সিভিক, বিদ্যুৎ ও আলো, উদ্যান, স্বাস্থ্য এবং জঞ্জাল সাফাই বিভাগকে সতর্ক থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। এদিকে বিধাননগর পুর এলাকায় জল নামানোর উচ্চ ক্ষমতার পাম্প বসিয়েছে।