কল্যাণীতে স্বামীর সামনে এক গৃহবধূকে গণধর্ষণের ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। বুধবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে কাঁচরাপাড়া ও কল্যাণীর মাঝে রেল সেতুর নীচে। ওই এলাকাটি গয়েশপুর পুরসভার ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের মধ্যে পড়ে। ঘটনার তদন্তে নেমে কল্যাণী থানার পুলিস কয়েক ঘণ্টার মধ্যে কল্যাণীর বিভিন্ন এলাকা থেকে আটজনকে গ্রেপ্তার করেছে। ধৃতদের মধ্যে একই পরিবারের তিন ভাই রয়েছে বলে জানা গিয়েছে। পুলিস ওই মহিলাকে মেডিক্যাল পরীক্ষার জন্য জেএনএম হাসপাতালে পাঠিয়েছে। পুলিসের দাবি, ধৃতদের সকলেই তাদের দোষ প্রাথমিকভাবে স্বীকার করেছে। তবে, এই ঘটনার পিছনে কোনও চক্রান্ত রয়েছে কিনা, তা খতিয়ে দেখছে পুলিস। এদিন বিকেলের দিকে ঘটনাস্থলে ফরেন্সিক টিম পৌঁছয়। তাঁরা ঘটনাস্থল থেকে মহিলার ভাঙা চুড়ি সহ বিভিন্ন নমুনা সংগ্রহ করেন। এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে কল্যাণী থানার পুলিস। সূত্রের খবর, ধৃত সকলেই উত্তর ২৪ পরগনার বাসিন্দা। এরা কেউ অটো চালক, কেউ টোটো চালায়। আবার কেউ অটো-টোটো স্ট্যান্ডে স্টাটারে কাজ করে। ধৃতদের একজনের পরিবারের সদস্য জানিয়েছেন, গত রাতে ছেলে বাড়ি ফেরেনি। বুধবার সকালে জানতে পারে, ছেলেকে পুলিস গ্রেপ্তার করে নিয়ে চলে গিয়েছে। ঠিক কী কারণে ওই আটজন ওই এলাকায় এসেছিল, কী উদ্দেশে এই কাণ্ড ঘটাল, সেই বিষয়েই তদন্ত চালাচ্ছে পুলিস। নির্যাতিতা গৃহবধূর স্বামী পুলিসকে জানিয়েছেন, এদিন সকালে স্ত্রীকে নিয়ে তিনি লাইনের পাশ দিয়ে হেঁটে কাঁচরাপাড়ার দিক থেকে কল্যাণীর দিকে যাচ্ছিলেন। তাঁদের বাড়ি কল্যাণীতে। ওই সময় রেলসেতুর নীচে লাইনের পাশে বসেছিল কয়েকজন যুবক। অভিযোগ, তারা স্বামীকে হুমকি দিয়ে পাশে বসিয়ে ওই গৃহবধূকে গণধর্ষণ করে। এরপর সেখান থেকে স্ত্রীকে নিয়ে কোনওরকমে পালিয়ে এসে কল্যাণী থানায় আট যুবকের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন স্বামী। পুলিস সব দিক খতিয়ে দেখে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।