উত্তরপ্রদেশের বারাণসীর রামনগর থানা এলাকায় ৮ বছরের নাবালিকাকে অপহরণ করে নিয়ে গিয়ে তাঁকে ধর্ষণ এবং পরে খুন করে এক যুবক। বাড়ি থেকে কিছু দূরে দোকানে জিনিসপত্র কিনতে গিয়েছিল ওই নাবালিকা। সেই সময়েই পাশেরই এক অন্ধকার জায়গায় ওই নাবালিকাকে নিয়ে গিয়ে তাকে ধর্ষণ করার পর পাথর দিয়ে মাথা থেঁতলে খুন করে ইরশাদ নামের এক যুবক ৷ পুলিশি তদন্তে ইরশাদ ধরা পড়তেই পালানোর চেষ্টা করে ৷ সেইসময় তাকে উদ্দেশ্য করে গুলি চালায় পুলিশ ৷ পালটা অভিযুক্তও গুলি চালাতে থাকে ৷ পুলিশি এনকাউন্টারে ইরশাদের ডানপায়ে গুলি লাগে ৷ তারপরই আর দৌড়তে না-পেরে পুলিশের হাতে ধরা দেয় অভিযুক্ত ৷ পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, তার কাছে থাকা বন্দুক অবৈধ ৷ কাশী জোনের ডিসিপি গৌরব বাঁশওয়াল জানিয়েছেন, অভিযুক্ত ইরশাদের ডান পায়ে গুলি লেগেছে। নাবালিকার সঙ্গে ঘটে যাওয়া ঘটনার অভিযোগ তার পরিবারের তরফ থেকে পাওয়ার পরই সিসিটিভি খতিয়ে দেখা হয় ৷ পরে নজরদারির সাহায্যে অভিযুক্তকে শনাক্ত করা হয়। ডিসিপি আরও জানিয়েছেন, মেয়েটি দোকান থেকে জিনিস কিনে ফেরার সময়ই ইরশাদ তাকে অপহরণ ও পরে ধর্ষণ করে। এরপর মেয়েটিকে পাথর দিয়ে থেঁতলে খুন করে। পরিবারের সদস্যদের অভিযোগের ভিত্তিতে মামলা করা হয়েছে। মেয়েটির দেহ উদ্ধারের পর এসওজি এবং পুলিশের দল অভিযুক্তের খোঁজে অবিরাম অভিযান চালাতে থাকে। সেইসময় সিসিটিভি খতিয়ে দেখা হয় ৷ নাবালিকাকে অপহরণ করে নিয়ে যাওয়ার ঘটনা সিসিটিভিতে দেখা যায় ৷ সেইসময় সুজাবাদ এলাকায় অভিযুক্তের গতিবিধি নজরে আসে পুলিশের ৷ পুলিশ তাকে ধরার চেষ্টা করলে ইরশাদ গুলি ছুড়তে থাকে। পাল্টা পুলিশের গুলি তার পায়ে লাগে। এরপর তাকে গ্রেফতার করে চিকিৎসার জন্য ট্রমা সেন্টারে পাঠানো হয় ৷