কোচবিহার: স্ত্রীর অধিকার ফিরে পেতে এবার ধরনার পথ বেছে নিলেন কোচবিহারের এক তরুণী। যদিও অনাহারে ৮ দিন ধরে ধরনায় বসে থাকার পরেও কোনও ফল মেলেনি। ঘরে ফেরানো তো দূর, অশান্তি এড়াতে বাড়ি ছেড়েছেন তরুণীর স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির সদস্যরা। প্রশাসনের সহযোগিতাও মেলেনি বলেই অভিযোগ। তবে এখনও নিজের দাবিতে অনড় ওই বধূ।কোচবিহারের সিতাইয়ের চামটা বালাপুকুরি এলাকার বাসিন্দা মিঠুন মিঞা। স্থানীয় সূ্ত্রে খবর, মাস ছয়েক ওই যুবকের সঙ্গেই বিয়ে হয় এলাকার বাসিন্দা বছর কুড়ির মৌপিয়া খাতুনের। বিয়ের পর থেকে স্বাভাবিক ছিল সবকিছু। দিব্যি সুখের কাটছিল যুগলের সংসার। কিন্তু আচমকাই যেন এলোমেলো হয়ে যায় সবকিছু। অভিযোগ, মাস ছয়েক কাটতেই হঠাৎ মৌপিয়াকে মারধর করে বাড়ি থেকে বের করে দেয় স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির সদস্যরা। কী করবেন, কোথায় যাবেন কিছুই বুঝতে পারেননি মৌপিয়া। অধিকার ফিরে পেতে প্রথমে প্রশাসনের দ্বারস্থ হন তিনি। কিন্তু তাতেও কোনও ফল না মেলায় ধরনার পথ বেছে নেন ওই বধূ।জানা গিয়েছে, ৮ দিন আগে শ্বশুরবাড়ির সামনে ধরনায় বসেন মৌপিয়া। নেই খাবারের ব্যবস্থাও। বিপদ বুঝে ঘর ছেড়ে পালিয়ে যান বধূর স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির সদস্যরা। এরপর খবর পেয়ে প্রশাসনের আধিকারিকরাও তাঁকে দেখে গিয়েছেন ঠিকই, কিন্তু কোনও সমাধান মেলেনি। মৌপিয়ার কথায়, তিনি সংসার করতে চান। তাঁকে সংসার ফিরিয়ে দিতে হবে। যতদিন না তাঁর দাবি মানা হবে ততদিন অনাহারে শ্বশুরবাড়ির সামনে বসে থাকবেন বলেই জানিয়েছেন ওই তরুণী। প্রেমিকাকে ফিরে পেতে প্রথম ধরনায় বসেছিল ধূপগুড়ির অনন্ত। ফিরেও পেয়েছিলেন প্রেমিকাকে। এরপর হারানো ভালবাসা ফিরে পেতে অনেকেই অনন্তর পথে হেঁটেছে। তবে সকলে যে সফল হয়েছেন তেমনটাও নয়। কী রয়েছে মৌপিয়ার ভাগ্যে তা এখন সময়ের অপেক্ষা। যদিও নিজের অবস্থানে দৃঢ় তরুণী।