নিরাপত্তাবাহিনীর এনকাউন্টারে মৃত্যু হয়েছে কমপক্ষে 16 জন মাওবাদী সদস্যের ৷ তাঁদের মধ্যে একজন মাওবাদী নেতা রামচন্দ্র রেড্ডি ওরফে চলপতি ৷ সরকার তাঁর মাথার দাম ঘোষণা করেছিল এক কোটি টাকা ৷ তিনি নকশাল কেন্দ্রীয় কমিটির শীর্ষস্থানীয় আধিকারিক ছিলেন ৷ মাওবাদী নেতা কিষেণজির পর এত বড় মাপের নেতা নিরাপত্তাবাহিনীর এনকাউন্টারে নিকেশ হল ৷ এই এনকাউন্টার হয়েছে সোমবার গভীর রাতে ও মঙ্গলবার ভোরে ওড়িশা সীমানার কাছে ছত্তিশগড়ের গারিয়াবন্দ জেলার জঙ্গলে ৷ মঙ্গলবার দু’রাজ্যের পুলিশ বাহিনীর তরফে এই তথ্য জানানো হয়েছে ৷ রাইপুর জোনের ইনস্পেক্টর জেনারেল (আইজি) অম্বরীশ মিশ্র জানান, 16 জন মৃত মাওবাদীর দেহ উদ্ধার হয়েছে ৷ তিনি বলেন, “একটি একে-47, এসএলআর, ইনসাস-সহ বিপুল পরিমাণে অস্ত্রশস্ত্র উদ্ধার হয়েছে ৷ তল্লাশি অভিযান চলছে ৷” গরিয়াবান্দের এসপি নিখিল রাখেচা বলেন, “গরিয়াবান্দের মাওবাদী নিকেশ অভিযানটি গ্রুপ E30, কোবলা ব্যাটেলিয়ন 207, সিআরপিএফ ব্যাটেলিয়নস 65 এবং 211 এবং এলওজি নুয়াপাড়া (ওড়িশা) একসঙ্গে করেছে ৷ মাওবাদীদের বহু শীর্ষস্থানীয় নেতা খতম হয়েছে ৷” মৃত মাওবাদীর সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা ৷ সোমবার ভোরে দুই মাওবাদী মহিলার মৃত্যু হয় এনকাউন্টারে ৷ পাশাপাশি এক কোবরা জওয়ানও একই এনকাউন্টারে জখম হন ৷ এসপি নিখিল রাখেচা জানান, ডিস্ট্রিক্ট রিজার্ভ গার্ড (ডিআরজি), সেন্ট্রাল রিজার্ভ পুলিশ ফোর্স (সিআরপিএফ), ছত্তিশগড়ের কোবরা এবং ওড়িশার স্পেশাল অপারেশন গ্রুপ (এসওজি) এই এনকাউন্টার করেছে ৷ পুলিশের উচ্চাধিকারিক আরও জানান, সোমবার সন্ধ্যা থেকে মাওবাদী বিরোধী অভিযান শুরু হয় মৈনপুর থানা এলাকার আওতায় থাকা জঙ্গলে ৷ তিনি বলেন, “তল্লাশি অভিযানে গোলাগুলি চালানো বন্ধ হওয়ার পর দু’জন মহিলা মাওবাদীর দেহ উদ্ধার হয় ৷ মৃত মাওবাদীদের অস্ত্রশস্ত্রগুলিও বাজেয়াপ্ত করা হয় ৷ তাঁদের শনাক্তকরণের প্রক্রিয়াও হয়েছে ৷ একজন কোবরা সেনা গুলিতে জখম হন ৷ রাইপুরে তাঁর চিকিৎসা চলছে ৷”