কলকাতা

বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের জের! নিউটাউনের গেস্ট হাউসে দিনাজপুরের মহিলার রহস্যমৃত্যু, আটক পুরুষ সঙ্গী

গেস্ট হাউস থেকে উদ্ধার হল এক মহিলার দেহ ৷ রহস্যজনক এই মৃত্যুর ঘটনায় মহিলার এক পুরুষ সঙ্গীকে আটক করেছে পুলিশ ৷ নিউটাউনের ঘটনায় ধৃত ব্যক্তির সঙ্গেই গেস্ট হাউসে উঠেছিলেন মহিলা ৷ মৃতের নাম ইতিকা মণ্ডল ৷ তদন্তে নেমে পুলিশের অনুমান, ইতিকাকে তাঁর পুরুষ সঙ্গী খুন করে থাকতে পারেন ৷ ধৃতের নাম বিশ্বজিৎ মণ্ডল ৷প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে, বিশ্বজিৎ এবং ইতিকা স্বামী-স্ত্রী’র পরিচয়ে গেস্ট হাউসে ঘর ভাড়া নিয়েছিলেন ৷ তবে, তাঁরা স্বামী-স্ত্রী নন বলে জানা গিয়েছে ৷ ফলে পুলিশের অনুমান, বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের ফলে এই ঘটনা ঘটে থাকতে পারে ৷ আপাতত বিশ্বজিৎকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ চালাচ্ছে পুলিশ ৷ বিধাননগর কমিশনারেট সূত্রের খবর, উত্তর দিনাজপুরের বাসিন্দা বিশ্বজিৎ মণ্ডল ও ইতিকা দু’জনে স্বামী-স্ত্রী পরিচয় দিয়ে নিউটাউনের এই গেস্ট হাউসে ওঠেন ৷ তবে, সেখানে তাঁরা কী নথি জমা দিয়েছিলেন, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে । সোমবার রাতেই তাঁরা গেস্ট হাউসে ঘর ভাড়া নেন ৷ এরপর মঙ্গলবার সকালে বিশ্বজিৎ তাঁর এক পরিচিতকে ফোন করে বলেন, ‘ইতিকা খুন হয়েছেন’ ৷ সেই কথা শুনে ওই ব্যক্তি নিউটাউন থানায় খবর দেন ৷ পুলিশ গেস্ট হাউসে গিয়ে ইতিকার দেহ উদ্ধার করে ৷ বিশ্বজিৎ মণ্ডলকে আটক করে থানায় নিয়ে যাওয়া হয় ৷ বিশ্বজিৎকে দফায়-দফায় জিজ্ঞাসাবাদ করছেন তদন্তকারীরা ৷ তাঁর সঙ্গে মৃত ইতিকার কী সম্পর্ক ছিল, তাও জানার চেষ্টা করছে পুলিশ ৷ কেন তাঁরা নিউটাউনে এসেছিলেন এবং ওই গেস্ট হাউসে তাঁরা কী উদ্দেশ্যে উঠেছিলেন, সেই বিষয়গুলিও খতিয়ে দেখা হচ্ছে ৷ এই ঘটনায় ইতিকার দেহ দেখে তদন্তকারীদের অনুমান, তাঁকে খুন করা হয়েছে ৷ বিধান নগর কমিশনারেটের এক উচ্চপদস্থ আধিকারিক বলেন, “ইতিমধ্যেই দেহটি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে ৷ ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্ট আসার পরেই, মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে ৷” তদন্ত নেমে গেস্ট হাউসের কর্মীদের সঙ্গে কথা বলছেন তদন্তকারীরা ৷ তাঁরা সেখানে ঘর ভাড়া নেওয়ার জন্য কী-কী নথি জমা দিয়েছে, সেই বিষয়গুলিও ভালোভাবে যাচাই করা হচ্ছে ৷ এছাড়াও কখন হোটেলে এসেছিলেন এবং মাঝে কোন-কোন সময়ে তাঁরা গেস্ট হাউসের বাইরে বেরিয়ে ছিলেন, তা জানতে সিসিটিভি ক্যামেরা ফুটেজ সংগ্রহ করেছে পুলিশ ৷