দেশ

অযোধ্যার ‘‌ঐতিহাসিক’ রায়কে মেনে নেওয়ার ও শান্তি বজায় রাখা আবেদন জানাচ্ছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীরা ‌

ঐতিহাসিক এই মামলার রায়কে সব পক্ষই স্বাগত জানিয়েছেন। সকলেই এক সুরে শান্তি বজায় রাখার আবেদন জানিয়েছেন। প্রায় পাঁচ শতাব্দী ধরে চলে আসছে অযোধ্যা বিতর্ক। সেই মামলায় রায় দিয়ে সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে, অযোধ্যার বিতর্কিত জমিতে রামমন্দির তৈরি হবে। বিকল্প হিসাবে পাঁচ একর জমি পাবে সুন্নি ওয়াকফ বোর্ড। দীর্ঘ শেষ ১৫০ বছর ধরে লড়াই চালানোয় নির্মোহী আখাড়াকে অযোধ্যা মামলার অন্যতম পক্ষ হিসাবে স্বীকৃতি দিয়েছে শীর্ষ আদালত। রাম জন্মস্থান মন্দিরের জন্য যে ট্রাস্ট গঠন করা হবে, সেই বোর্ডেও নির্মোহী আখাড়ার প্রতিনিধি থাকবে। এই মামলাকে স্বাগত জানালেও ঐতিহাসিক রায়ে খুশি নয় সুন্নি ওয়াকফ বোর্ড। অন্যদিকে সুপ্রিম কোর্টের রায় নিয়ে রাজনৈতিক নেতা থেকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সকলেরই এক সুর লক্ষ্য করা গিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেন, ‘দেশের বিচার ব্যবস্থার ওপর আস্থা ভরসা আরও বাড়িয়ে দিল এই রায়। আমি সকল দেশবাসীকে শান্তি, সম্প্রীতি এবং ঐক্য বজায় রাখতে আবেদন করছি। প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং বলেন, ‘এটা একটা ঐতিহাসিক রায়। জন সাধারণকে শান্তি বজায় রাখার আবেদন করছি।’ কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নীতিন গডকরি বলেন, ‘প্রত্যেকের এই রায় মেনে নেওয়া উচিত এবং শান্তি বজায় রাখা উচিত।’‌ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বলেন, আমি সর্বসম্মতিক্রমে শ্রী রাম জন্মভূমি নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের রায়কে স্বাগত জানাই। আমি সকল সম্প্রদায় এবং ধর্মের মানুষের কাছে এই সিদ্ধান্তটি স্বাচ্ছন্দ্যে গ্রহণ করার এবং শান্তি-সম্প্রীতিতে পূর্ণ ‘এক ভারত-শ্রেষ্ঠ ভারত’ প্রতিশ্রুতি ও প্রতিজ্ঞাবদ্ধ থাকার জন্য আবেদন করছি। কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধি এই রায়কে স্বাগত জানিয়েছেন। নীতীশ কুমার, বলেন সুপ্রিম কোর্টের রায় সকলেরই স্বাগত জানানো উচিত। এটি সামাজিক সম্প্রীতির জন্য উপকারী হবে। এই বিষয়ে আর কোনও বিতর্ক না হওয়া উচিত, এটিই জনগণের কাছে আমার আবেদন।