জেলা

দলের ভরাডুবিতে হেলদোল নেই বিজেপির নেতৃত্বের, পার্টি অফিসে ভুঁড়ি ভোজের ব্যবস্থা উল্টে দিল দলের ক্ষুব্ধ কর্মীরা

দলের ভরাডুবিতে হেলদোল নেই বিজেপির নেতৃত্বের। পার্টি অফিসে ভুঁড়ি ভোজের ব্যবস্থা! দলের নেতারা মাংস রান্না করে খাচ্ছেন কার্যালয়ে। তাই মারধোর করে ভেঙে দিল কার্যালয়, জেলা সভাপতির গাড়ি। এই ঘটনা ঘটেছে পশ্চিম মেদিনীপুরের ডেবরার বিজেপির জেলা কার্যালয়ে । বৃহস্পতিবার খড়্গপুর বিধানসভা উপনির্বাচনের ফলাফল ঘোষনা হয়েছে । রাজ্যের বাকি তিন বিধানসভার সঙ্গে এখানেও বিজেপির পরাজয় দেখে যতখানি তৃণমূলের সমর্থকরা উল্লাসিত , বিজেপির কর্মীরা দুঃখিত ততখানি । দিনভর দলের কর্মীদের বিভিন্ন ভাবে আক্রান্তও হতে হয়েছে।লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির ভালো ফল দেখে অনেকেই বিজেপিতে ভিড় করতে শুরু করেছিলেন । এর জেরে বহু মামলা ও আক্রমনের মুখে পড়তে হয়েছিল বিজেপি কর্মী সমর্থকদের । নিজেদের অপ্রতিরোধ্য ধরে নিয়েই বিজেপির কর্মীরা এগোতে শুরু করেছিল । তারপরই বিধানসবার উপনির্বাচনে ধ্বস । এই পরিস্থিতিতে ক্ষোভ ফেটে পড়লো এই কার্যালয়ে শুক্রবার দুপুরে মাংস রান্না চলছিল । সেখানে উপস্থিত ছিলেন বিজেপির ঘাটাল জেলা সভাপতি অন্তরা ভট্টচার্য । দলের বেশ কিছু নেতা কর্মীদের নিয়ে কার্যালয়ে বসে থাকার সময়েই হটাত্‍ করে বেশ কিছু পুরনো বিজেপি কর্মী সেখানে হাজির হয় । দলের নেতারা হারের পরেও মাংস রান্না করে ভুরি ভোজ করছেন দেখে চটে যায় সকলে । অতর্কিত আক্রমন শুরু করে । তারা বলেন- এই সমস্ত নেতারা পদের জন্য লড়াই করে । দলের জেতার থেকে নিজেদের আখের গুছাতেই ব্যস্ত । অথচ আমরা দলের কাজে নেমে আক্রান্ত বা মামলা খেলে তার দায় আমাদেরই । এদের কারনেই দলের ভরাডুবি । এই দাবি করেই বেধড়ক ভাঙচুর চালানো হয় । কার্যালয়ের ভেতর থেকে টেনে বের করে বিজেপির নেতাদের মারধোর করে অপর একদল বিজেপি কর্মী । বাইরে জেলা সভাপতির দাঁড়িয়ে থাকা গাড়ি ভাঙচুর করা হয় । কার্যালয়ের ভেতরে রান্না করা মাংস খাবার সব ফেলে দিয়ে কার্যালয়টিও ভেঙে দেওয়া হয় । উত্তেজনা চরমে উঠলে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেয় । বিজেপির ঘাটাল সাংগঠনিক জেলা সহ সভাপতি বলেন- এটা বিজেপির অপর গোষ্ঠীর কাজ । পুরনো ক্ষোভ নিয়ে হামলা করেছে।

“বিক্ষুব্ধদের দাবি, অন্তরা ভট্টাচার্য জেলা সভাপতির দায়িত্ব গ্রহণ করার পর থেকেই পুরনো কর্মীদের ব্রাত্য করে দল পরিচালনা করছেন। সম্প্রতি দলের মন্ডল সভাপতি নির্বাচনে দলে স্থান পেয়েছে অন্তরা ভট্টাচার্য অনুগামী নামে পরিচিত নব্য বিজেপি কর্মকর্তারা।সঞ্জয় সাঁতরা, অজিত ঘোড়াইয়ের মত বিক্ষুব্ধ আক্রমনকারী বিজেপি কর্মীদের দাবি, দল হারার পরেও কার্যালয়ে এরা মদ মাংস দিয়ে পিকনিক করছে। এদের জন্য দলের আজকের এই অবস্থা।”