হায়দরাবাদে এক পশুচিকিৎসক প্রিয়াঙ্কা রেড্ডিকে ধর্ষণ করে পুড়িয়ে মারার একদিন পর ওই এলাকাতেই আরও এক মহিলার দগ্ধ দেহ উদ্ধার হল। হায়দরাবাদের কাছে শামসাবাদে খোলা জায়গায় পাওয়া গিয়েছে এই দেহটি। অন্যদিকে, পশুচিকিৎসকের ধর্ষণ-হত্যার ঘটনায় এপর্যন্ত গ্রেফতার হয়েছেচারজন। তাদের মধ্যে রয়েছে দুই লরি ড্রাইভার এবং একজন ক্লিনার। তারা হল ২৬ বছরের মহম্মদ আলিয়াস ওরফে আরিফ, ২০ বছরের জল্লু শিবা ও ক্লিনার ২০ বছরের চিন্তাকুন্তা চেন্নাকেশবালু। তাদের বিরুদ্ধে গণধর্ষণ, খুন ও প্রমাণ লোপের অভিযোগ আনা হয়েছে। পুলিশ জানাচ্ছে, ২৬ নভেম্বর আরিফ ও শিবা রায়চুর থেকে হায়দরাবাদ-বেঙ্গালুরু জাতীয় সড়কে ইটবোঝাই লরি নিয়ে আসছিল। মাঝপথে নবীন ও চিন্তাকুন্তাকে বুধবার ভোরে লরিতে তোলে। তারপর সন্ধ্যায় তারা মদ্যপান করে। তারপর টোল প্লাজায় শিবা প্রিয়াঙ্কার মোটরবাইকের হাওয়া খুলে দেয়। তখন রাত সওয়া নটা। শিবা বলে, সে টায়ার সারিয়ে দেবে। পাঁচ মিনিট পরে ফিরে এসে বলে দোকান বন্ধ হয়ে গিয়েছে। তখন প্রিয়াঙ্কা ভয় পেয়ে তাঁর বোনকে ফোন করে। তারপরই তাঁকে তারা ক্মাউন্ডের দেওয়ালের কাছে টেনে নিয়ে যায়। শিবা টায়ার সারিয়ে ফিরে এসে বন্ধুদের সঙ্গে গণধর্ষণে যোগ দেয়। প্রিয়াঙ্কার নাক চেপে ধর্ষণ করা হয়। পৌনে দশটা নাগাদ প্রিয়াঙ্কার ফোনের সুইচ অফ করে দেয় তারা। তাঁকে হত্যা করে লরির কেবিনে তোলা হয়। প্রিয়াঙ্কার বাইকে ওঠে শিবা আর নবীন। তার পিছনে লরিতে আরিফ আর চিন্তাকুন্তা। একটি পেট্রোল পাম্প থেকে পেট্রোল কিনে শাদনগরে নির্জন জায়গায় দেহটি জ্বালিয়ে দেয় তারা। বাইকের নম্বরপ্লেট খুলে সেটি ফেলে দেয়।