দেশ

জিস্যাট ৩০ উপগ্রহ লঞ্চ করল ইসরো, মোবাইলে সিগন্যাল সমস্যা এবার অতীত

নতুন বছরের শুরুতেই মহাকাশযাত্রার শুভ সূচনা করে দিল ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরো। ফ্রেঞ্চ গিনি থেকে আরিয়ানা-৫ রকেটের পিঠে চেপে মধ্যরাতে হুশ করে উড়ে যাওয়ার পর থেকেই তার উপর সতর্ক নজর রেখেছিল ইসরোর গ্রাউন্ড স্টেশন। ভোররাতেই পৃথিবীর মাধ্যাকর্ষণের মায়া কাটিয়ে ফেলে জিস্যাট-৩০। আরিয়ানা-৫ (ভিএ-২৫১)  রকেটকে গুড বাই বলে ভারতের আধুনিক এই যোগাযোগ রক্ষাকারী উপগ্রহ এখন জমিয়ে বসেছে পৃথিবীর কক্ষপথে।ভারতীয় সময় রাত আড়াইটে নাগাদ দক্ষিণ আমেরিকার উত্তর-পূর্ব উপকূলের ফ্রেঞ্চ গিনি উৎক্ষেপণ কেন্দ্র থেকে আরিয়ানা-৫ লঞ্চ ভেহিকলের পিঠে চেপে মহাকাশে পাঠানো হয় জিস্যাট সিরিজের এই অত্যাধুনিক উপগ্রহকে। এই ভারী কমিউনিকেশন স্যাটেলাইটের উৎক্ষেপণের জন্য ইউরোপিয়ান স্পেস এজেন্সির (ইএসএ) সঙ্গে হাত মিলিয়েছিল ইসরো। যৌথ প্রচেষ্টায় এই মিশন পুরোপুরি সফল হয়েছে বলে জানিয়েছেন ইসরোর চেয়ারম্যান কে শিবন। ইসরো দাবি অনুযায়ী, জিস্যাট ৩০ যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত করার জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেবে। এটি ইনস্যাট ৪এ উপগ্রহের বদলে কাজ করবে। ইনস্যাট ৪এ উপগ্রহের অনেকটাই বয়স হয়ে যাওয়ায় সেটির বদলে জিস্যাট ৩০- কে কাজে লাগাতে চায় ইসরো। তাছাড়া ইনস্যাট ৪এ উপগ্রহের প্রযুক্তিও অনেক পুরনো। সবমিলিয়ে ইনস্যাট ৪এ-র কর্মক্ষমতা অনেকটাই কমে গিয়েছিল। তাই একটি শক্তিশালী উপগ্রহ লঞ্চ করার প্রয়োজন ছিল। টেলিভিশন আপলিঙ্কিং, টেলিপোর্ট পরিষেবা, ডিজিটাল স্যাটেলাইট খবর সংগ্রহ, ডিটিএইচ টেলিভিশন পরিষেবার মতো ক্ষেত্রে জিস্যাট ৩০ উপগ্রহ কাজে লাগবে। এর পাশাপাশি জলবায়ু পরিবর্তনের গতিপ্রকৃতির দিকে নজর রাখতেও এই উপগ্রহ সাহায্য করবে। দাবি করা হচ্ছে, এই উপগ্রহের সাহায্যে ভারতে ইন্টারনেট পরিষেবা অনেকটাই উন্নত হবে। পাশাপাশি যে সমস্ত এলাকায় এখন মোবাইলের সিগন্যাল পাওয়া যায় না, সেখানেও সিগন্যাল পাওয়া সহজ হবে।