ব্যোমমিত্রা-কে, গগনযান অভিযানের জন্য ইসরোর তৈরি প্রথম যন্ত্রমানবী
সে কথা বলতে পারে। অন্য মানুষকে চিনতেও কোনও অসুবিধা হয় না। মহাকাশচারীদের কাজকর্ম নকল করতে পারে। এমনকী গুরুত্বপূর্ণ কথোপকথন এবং প্রশ্নোত্তরেও সক্ষম সে। তার নাম ব্যোমমিত্রা। গগনযান অভিযানের জন্য ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থার তৈরি একটি ‘অর্ধ-হিউম্যানয়েড’ বা অর্ধ মানব-রোবট। গগনযান অভিযানের জন্য পরীক্ষামূলক উড়ানের অংশ হিসাবে তাকে মহাকাশে পাঠানোর পরিকল্পনা করেছে ইসরো।
গগনযানের নভশ্চরদের তালিকায় মহিলাদের নাম না থাকলেও, মহিলা-রোবটকে থুড়ি মহিলা অবয়বের রোবট মহাকাশে পাঠানোর প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরো। ইসরোর চেয়ারম্যান কে শিবন ঘোষণা করে দিয়েছেন, গগনযানের জন্য চার নভশ্চরকে বাছা হয়েছে বায়ুসেনা থেকে। চারজনেই বায়ুসেনার দক্ষ পাইলট। দীর্ঘ সময় আকাশে বিমান ওড়ানোর অভিজ্ঞতা আছে। নভশ্চরের প্রশিক্ষণের জন্য খুব তাড়াতাড়ি তাঁদের ‘রসকসমস’ অর্থাত্ রাশিয়াম স্পেস এজেন্সিতে পাঠানো হবে। ইসরো চেয়ারম্যান বলেছেন, সব ঠিক থাকলে ২০২২ সালেই মানুষ নিয়ে মহাকাশযাত্রা করবে ইসরোর মহাকাশযান গগনযান। মহাকাশবিজ্ঞানের ইতিহাসে নতুন মাইলফলক তৈরি হবে। মাথা থেকে কোমর অবধি আছে এই রোবটের, দু’হাতও আছে, কিন্তু পা নেই। যে কোনও দিকে শরীর বাঁকাতে পারে সে, সব কাজ করতে পারে হাত দিয়ে, কথাও বলতে পারে আবার বুদ্ধি খাটিয়ে গবেষণাও করতে পারে। ইসরোর বিজ্ঞানীরা বলছেন, এই মহিলা-রোবট ব্যোমমিত্র একেবারে রূপে লক্ষ্মী, গুণে সরস্বতী। মানুষের অনুকরণও করতে পারবে সে। মহাকাশে শূন্য মাধ্যাকর্ষণে গগনযানের ভেতর কী কী বদল হচ্ছে তার নির্ভুল তথ্য সে পাঠাবে ইসরোর গ্রাউন্ড কম্যান্ডে। কোনও বিপদ হাজির হলে সে বার্তাও পাঠাতে পারবে তুরন্ত। ইসরোর গ্রাউন্ড স্টেশনে নভশ্চর ও মহাকাশবিজ্ঞানীদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রেখে চলবে এই মহিলা-রোবট। প্রতি মুহূর্তের খবর জানাবে নভশ্চরদের।